তোমার দেওয়া শেষ চিঠি খানি
ছিলো নীল খামে মোড়া,
নির্জনে বসে চিঠিটা খুলে দেখি
সাদা কাগজের পর ছিলো পুষ্পের তোড়া।
ঐ পুষ্পের ঘ্রাণে মন নাহি আর মানে,
আমি উল্লাসিত মনে হাতে তুলে নিয়ে সে চিঠি,
পড়িয়া বুঝিলাম তুমি আমায় করেছো অতিথি।
পুষ্প দেওয়ার মানে লিখেছো রইলো শেষ শুভেচ্ছা,
তখন আমার চোখে নামিলো বৃষ্টির ঢল
ভেঙ্গে গেলো সকল স্বপ্ন আশা।
লিখেছো আমি চলে যাব অন্যের ঘরে আগামী শুক্রবার,
করিলাম নিমন্ত্রণ, তুমি আসিয়ো আমার বাড়ী
এসে, তুমি আমায় শেষ দেখা দেখে যেয়ো একবার।
না! ওগো তুমি কষ্ট নিয়োনা মনে,
তুমি যদি কষ্ট পাও বলো আমি বাঁচবো কেমনে?
জানো! আমি চাইনি কোনদিন তোমায় ছেড়ে যেতে,
শুধু পরিবারের জন্য রাজি হতে হলো এই বিয়ে তে।
শোন! ক্ষমা করে দিও আমায়, কেঁদোনা
কষ্ট নিওনা মনে,  তুমি কষ্ট পেয়ে
ভাসিলে চোখের জলে, আমি যে সইতে পারবোনা।
যতদিন বাঁচবো বুকে ধরে রাখবো
তোমার ভালোবাসার সব স্মৃতি,
ভেবে নিবো ছিলো মোদের এটাই নিয়তি,
ভালো থেকো সুখে থেকো আজীবন
টেনে দিলাম আমার এই শেষ চিঠিটার ইতি।
আমি চিঠি খানি পড়িয়া কষ্টের সাগরে ডুবে
ভাঙ্গা মনে করুণ রোদনে, সে চিঠি রেখে দিলাম অতি যতনে
অনেক বছর তো পেরিয়ে গেলো আজও রয়ে গেছে অমনি
সেই তোমার দেওয়া শেষ চিঠি খানি,
শুধু শুভেচ্ছার ফুল শুকিয়ে গেছে মরে, সেটা বাঁচাতে পারিনি।
আজ তুমি কোথায় আর আমি কোথায়?
ভিন্ন পথের যাত্রী হয়েছি দু,জনায়।
তুমি ভালো থেকো সুখে থেকো এ কামনা প্রতিক্ষণ,
জানো! তোমার কথা রেখেছি,
আমি অনেক ভালো আছি গুঁচিয়ে নিয়ে জীবন।