আজ এ স্বপ্নীল সন্ধ্যা উত্তর হাওয়ার গান ধরেছে
এমন সময় একতারার শব্দ বাজে কাণে,
লক্ষ্মীশ্রী বারবার আমায় কাছে ডাকে
হুতুম পেঁচার চোখ খুলেছে রাত্রির আঁধারে।
শহুরে লাইটে চোখ ঝালাপালা হয়ে গেছে
আবর্জনার স্তূপ গন্ধে একাকার,
চার দেয়ালের ভেতর যেন দম আটকে আসে
গাড়ির কোলাহল লোকে লোকারণ্য ।
কোথাও নেই  হৃদয় জুড়ানো ঠান্ডা হাওয়া
গরম বাতাসে ভেসে ওঠে ধুলিকণা,
চোখ মুখ বন্ধ হয়ে আসে
এক্কেবারেই অস্বস্তিকর লাগে ।
তখন পল্লীবালার কথা মনে পড়ে আকাশের চিঠি আসে
দূর মেঘমালার মৃদু হাওয়ায় ভেসে মধুমাসে,
স্মৃতির আঙ্গিনার দিকে তাকিয়ে দৃঢ় নয়নে
মন করে টলমল ছুটে যাওয়ার ইচ্ছে জাগে
চাতক বাঁচে নতুন কোন স্বপ্ন আঁকে ।
নিত্য নবীন কিশোরীর বুকে গোলাপ ফুটেছে
পাখিদের রাজ্যে বটের ছায়ায় বসে,
মাঘের শীতে সুমধুর গন্ধ ভেসে আসে
দুর্বার গায়ে অতীত স্মৃতি বিজড়িত ।
তখন চলছে উত্তরায়ণের শেষ মুহূর্ত
মনের কোণে উঁকি দিচ্ছে চন্দ্রিমার ঝলক
প্রফুল্ল থেকে যায় গাঁয়ের ছবি ,
ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে ছুটে চলি কোন এক স্বপ্নের দেশে।
সে যে আমার লক্ষ্মীশ্রী আঁচল পেতে রয়েছে বসে
স্নিগ্ধ সরল নীলাম্বর আজ‌ও কাছে ডাকে,
ভাল্লাগে না শহুরে কোলাহল
মন ছুটে যায় পল্লীবালার কাছে,
সবুজ শ্যামল রূপখানি তার আজ‌ও মনে পড়ে।