চৈত্রের তাপদাহে মেঘ মুক্ত আকাশ শ্বেত ধোয়াশায় ব্যকুল
স্তব্ধ কোলাহল হীন নিবিড় সময়  ধানক্ষেতের পাতা দোলে
বক্ষ জীর্ণ করে প্রবল বেয়ে বায়ু বয় ক্লান্ত পথিক ধুলোমাখা গায়ে-
চোখ মুখ বন্ধ যেন- চলছে অন্ধকারময় ঝাপসা বেলায়।
নহে সূর্য অস্তমিত; শিশুটি ছোটে রঙিন ঘুড়ি হাতে
পথ জুড়ে তার খুশির পিদিম জ্বলে দমকা হাওয়ায়
পথের ধুলোয় চোখের জ্বালা, দিঘির ঢেউ অমনি হেলে দুলে;
পত্রমোচী পায়ের তলায় র্মর্মর শব্দ শুনি  বিহঙ কাঁদে বাসা হারায় ~
চাল উড়ে যায় চৈতি হাওয়ায় শ্রান্তহীন জীবন গড়ে
আকাশ শ্বেত ধূসর রঙে নিরব হাসি হিজল গাছটির
ডাল ভাঙি পরে; এক ঝটকায় উড়ে যায় দুঃখ নদীর চরে।
ধূলোমাখা গায় পথে ফিরে চায় বৈকালের সূর্য
নীল নীলক্ষায় হঠাৎ প্রকৃতি মাঝে বিরূপ ম্লান
কুহেলিকার মতো ছুটে আসে পথের ধুলো গায়ে মিশে।