আজ মনে পড়ে গেল সেই কবিতার কথা
একটু শান্তির, একটু প্রশস্তির জন্য লিখব একা একা।
সেই কবেকার অতীতের দিনগুলি,নতুনের আলোয় ভরিয়ে দেব।
বিরাট পৃথিবীর কাছে এসে দাঁড়িয়ে তোমাদের কাছে
খাতার পৃষ্ঠায় জীবন্ত এক প্রাণ, কবিতা উপহার দিব।
প্রেমিকের নূপুরের ছন্দে, ছন্দে উল্লাসে মাতিয়ে
কোন এক নন্দন কাননে জ্বলব জোনাকি হয়ে।
পথের ধারে জেগে ওঠা হাতিশূরের সঙ্গী হব
ধান পাতার শিশির বিন্দুর গল্প খানি আবার বলব।
সেই এক মহান কবি বাল্মীকির চোখের জলের কবিতা,
কাতর কন্ঠে সরল মনে বয়ে চলা সুরের ভেলা
যে কবিতা আজীবন সবার থাকবে মনে,
রবীন্দ্রনাথের সুরে সুরে মাতাল হবে পাড়া
ঘুঘুর বাজবে আলতা রাঙা পায়ে ।
সেই এক কবিতার কাছে কতদিন চলে গেছে
লিখতে পারিনি তবু কবিতার কথা ভাবতে-ভাবতে শেষে।
ভরদুপুরে ঘুমের টানে সব গিয়েছি ভুলে
লিখব বললেই খাতার পৃষ্ঠা সেই রয়েছে মেলে।
একটুকরো প্রশস্তি  লিখবো বলে
কিন্তু সেই আর লেখা হলো না,
সেই সকাল থেকে বসে আছি,
কবিতা লিখবো, কবিতা লিখবো,কবিতা লিখবো।
রূপকথার এক ছন্দ লিখব
বাদল ধারার মতো ছন্দে নেচে।
একটা কবিতা লিখব বলে চোখের জলে খাতার পৃষ্ঠা গিয়েছে ভিজে,
তোমাকে আর আজীবনের জন্য লেখা হলো না।
সেই পথেই পড়ে রইল নাম না জানা কবিতার কথা।
সেই কবিতা লিখবো বলে ভেবে ভেবে বসে
তোমাদের ভিড়ে সেই  কবে হবে লেখা।
লেখার সামর্থ্য যদি ফিরে পাই
লিখব না, লিখব না করে লিখে ফেলি।
তোমাদের মতো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ কবি হয়ে
আবার কবিতা লিখি সকল কবিতার ভিড়ে।