এই সকালের পথ ধরে মৃদু বাতাসের সাথে এসেছিলাম;
আনমনা হয়ে মেঠো পথের ধুলোময়  রঙিন সাজে
লক্ষ্মীশ্রী দু- দন্ড শান্তি পাওয়ার জন্য তোমার কাছে;
হেসে খেলে সারা জীবন কাটিয়ে দেবো তোমার কোলে শুয়ে
কিন্তু এখন আমি বাঁচতে শিখেছি আর আমার ভয়ে করে না
মনে হয় যেন তুমি সর্বত্রই পাশে রয়েছো ।
মাঝনদীতে যখন হাবুডুবু খেয়ে ছিলাম স্রোতের টানে ভেসে গিয়েছি
ঘূর্ণিপাকের অতল রাজ্যে হিরে মানিক এর খোঁজে
তখনও তোমার পায়ের নুপুর বেজে ওঠে কানে:
আর আমায় মনে করিয়ে দেয় তুমিতো ভবঘুরে ,
কি চাই তোমার?
আমার হৃদয় শিহরিত হয়ে ওঠে,
মুখে আর কোন কথা নেই শুধু সম্মুখে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত
মাঘের শিশিরের মতন ঝরে পড়ে দৃঢ় শব্দে অবিরত,
সে শব্দ আমার কানে পৌঁছায় না, আমি বুঝতে পারিনা,
কোনটা ভালো কোনটা মন্দ এর কোনও বালাই রাখিনা।
কখনো চাইনি রৌদ্রে পুড়ে ছাই হতে
কাঠবিড়ালির মত গাছের এক কোণে বসে থাকতে,
তোমাদের কাছে পৌঁছতে চেয়েছিলাম; কিন্তু তোমরা
বারবার আমাকে নিচে নামিয়ে এনেছো; আমি জানি
কি করে হরিণের মতো ছুটতে হয় বাঘকে পেছনে ফেলে
কি করে সজাগ থাকতে হয় কুকুরের মতন রাত্রিবেলা।
আমি হারতে শিখিনি, আমি বাঁচতে শিখেছি ; লক্ষ্মীশ্রী আমার প্রেরণা
অন্ধকারে স্তব্ধ পথে আলোর ঝিলিক দিয়ে ওঠে;
আমি বুঝতে পারি প্রকৃত ভালোবাসা কোথায় পাওয়া যায়
আমি বুঝতে পারি ভালোবাসা শুধু একজনের জন্য নয়;
মানুষের জন্য মানুষ হওয়ার প্রেরণা যোগায় ।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়
শত দুঃখ কষ্ট সহ্য করেও কিভাবে এগিয়ে যেতে হয়;
একজন ভালো মানুষ হওয়া যায় নিজ প্রচেষ্টায়।
সত্যিই আমি ভবঘুরে।