ঐ নীল গগনে ছেয়েছে কালিমাখা তায়দে আঁধার
উষ্ম পবন এসে বলে যায় এসেছে আষাঢ় মাস,
বাদল দিনে তটিনীর পাড় একাকী বসে থাকি
বাড়িয়ে দিয়ে তোমার তরে শূন্য দুটি ভুজ।
অভ্রের দিকে চেয়ে দেখি বৃষ্টি নামে মুষলধারায়
অম্বুর প্রতিটি কণায় দেখি শুধু তোমার প্রতিবিম্ব,
ঐ পাদপের প্রতিটি শাখায় ফুটেছে কদম ফুল
চারিদিকে ছড়িয়েছে মন মুগ্ধকর মিষ্টি সুবাস।
উল্লাসিত অঙ্গ বৃষ্টির পরশ মেখে ভিজতে থাকে
বিচলিত মনে অনুভব করি তোমার উপস্থিতি,
ক্ষণে ক্ষণে থেমে যায় বৃষ্টি দেখি রোদেলা গোধূলি
কখনো উদাস হয়োনা যেন এমন মধুর লগ্নে।
অবনীর বুক চিরে আসবো সুখের পরশ নিয়ে
সবুজ কুঞ্জের মাঝে হাতে হাত রেখে বৃষ্টিতে ভিজবো,
প্রণয়ের আবেগে দুজন মিলে মিশে হব একাকার
শীতল উদকে মোরা ভাসিয়ে দেবো ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাস।
কাজল কালো নয়নে দেখবো একে অপরের প্রতি
বৃক্ষের মতো আঁকড়ে ধরা আবেগী প্রেমের প্রতিফলন,
আষাঢ়ের বর্ষণে খুঁজে নেব শান্তির নিবাস
অখিলের জলদ এসে করবে সুখের স্বর্গ দান।
সর্বদা প্রিতিটি নিঃশ্বাসে এভাবেই মিশে থাকবে
সারাজীবন প্রগাঢ় বন্ধনে আবদ্ধ আষাঢ়ের প্রেম,
যেমন থাকে পারাবার ঝিনুকের বুকে মুক্তা
প্রয়াস করে প্রাণপনে তাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে।


রচনাকালঃ- ১০/০৭/২০১৭