চৌরাস্তার মোড়ের ধারে সাইফুলের দোকানে
বারে বারে ছুটে যেতাম আমরা সবাই সেখানে,
সকাল সন্ধ্যা শুধু সেখানে যাওয়া
ছিলনা জীবনে আর কিছু চাওয়া পাওয়া।
আমরা কজন বন্ধু ছিলাম অনেক রোমান্টিক
দুরন্ত আর ছোটা-ছুটি ছিলামনা কেউ সঠিক,
সব কাজে একেবারে দিতাম ফাঁকি,
ভাবতাম এইবার কিছু করবো নাকি।
অবহেলা করতাম আমরা ছিলাম কত ঠান্ডা
সুযোগ পেলেই বাবার হাতে খেতাম শুধু ডান্ডা,
জীবনে অনেক ফূর্তি ছিল কান্না নয় হাসি
তাইতো আমরা খুব সহজে সকলকে ভালোবাসি।
সন্ধ্যার পর দোকানের আসরে শুরু হত আড্ডা
আমাদের মধ্যে চলতো ইয়ারকি আর ঠাট্টা,
বাবা আমার নাম রেখেছে অনেক সাধের-আনান
কিন্তু আমি খুব শহজে সব কাজে বেমানান।
আমার একটা বন্ধু ছিল যার নাম হ্যাপি
একটু কথায় রেগে যেত দুঃখ পেলেই আন হ্যাপি,
সাধের একটা বন্ধু ছিল তার নাম সুদীপ
সে-যে বড় অকেজো ছিল জ্বলত না জীবনের প্রদীপ।
খাদ্য খাবার বলতে ছিল সিগারেট আর বিমল
তার কারণে আজ আমরা সব কাজে অচল,
গল্প গুজোব আর করতাম অনেক মসকরা
রাস্তার পথিক দাঁড়িয়ে দেখত আমাদের নখরা।
আবার নেশা উঠলে পরে খেতাম একটা বিড়ি
খাবারর পরে এর ওর চুল টেনে ছিড়ি,
আর একটা নেশা ছিল খেতাম শুধু চা
এদিক ওদিক ছুটেযেতাম দাড়াত না আমাদের পা।
আড্ডার পরে মা'র সেই আমায় ডাকতে আসা
তা দেখে বুঝতাম আমার প্রতি জননীর ভালোবাসা,
একটু যেতে দেরি হলে বাবা দিত বকুনি
আজে বাজে কমেন্ট করলে করতাম শুধু কাঁদুনি।
আসলে আমরা ছিলাম অনেক অগোছাল
তাই নিয়তি আমাদের বুঝিয়ে দিল,
সেসব কথা মনে করে বসে থাকা গেল না
পুরনো দিনের আড্ডাটা আর দেওয়া হল না।


রচনাকালঃ- ১০/১১/২০১৬