রাগান্বিত হয়ে হুঙ্কারি হাঁক দিয়ে বলে
কোথায় নূরুল বাহির 'হ' তোর ঘর থাইকা!
আমায় ঘর থেকে টেনে মাটিতে ফেলে
নির্মম ভাবে মারতে লাগল চারজন লেঠেল।


যেটুকু সম্বল বলতে ছিল মোর ঘরে
তারা ছুড়ে ফেলে দিল সদনের আঙিনায়,
হাতে পায়ে ধরে কাকুতি-মিনতি করলাম
দয়া করুন আমার ওপর জমিদার বাবু!


মাটিকে যে প্রাণের চেয়ে বড় ভালোবাসি
ভিটেটুকু পিতা-মাতার রেখে যাওয়া স্মৃতি,
এই ছোট্ট কুটীর আমার শেষ আশ্রয়
এটুকু কেড়ে নিলে আর কি থাকবে সম্বল?


অনুনয়-বিনয় করে জমিদার বাবুকে বললাম
এভাবে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করবেন না আমাকে,
কি এমন অপরাধ করেছি যার শাস্তি দিচ্ছেন?
জমিদার ছল-কপটের জোরে জমিটুকু কেড়ে নিলো।


আঁখির জল মুছি আর পিছন ফিরে চাই
সাজানো স্বপ্ন যেন পুড়ে হলো ছারখার!
ক্ষেতটুকু দেখি আর মনে-মনে ভাবি
হে ঈশ্বর ন্যায় বিচার আমি কোথায় পেলাম?


তখন যেন আকাশ ফেটে পড়ল মাথায়
চিৎকার করে বলি শোনো-শোনো গ্রামবাসী!
তোমরা কি কেউ কিছুই দেখতে পাও না?
এই মিথ্যাবাদী নির্দয় জমিদারের অকত্ব অত্যাচার!


বেঁচে থাকার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ফেললাম
আহা আজ আমি যে বড় অসহায়!
কোথায় খুঁজে পাব একজন প্রতিবাদী মানুষ
যে এই অত্যাচারী জমিদারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে!


কোথায় খুঁজে পাব একজন ন্যায় নিষ্ঠাবান
যে বিচারকের আসনে বসে ন্যায় বিচার করবে,
কবে উদয় হবে এ ভুবনে সত্যের সূর্য
আজও আমি খুঁজে ফিরি সততার প্রতীক।


রচনাকালঃ- ০৮/১২/২০১৬