র্নিমম প্রলয় কেড়ে নিলো সুখ আসলে আমি অস্তিত্বহীন
সব কিছু হারিয়ে ফেলে হয়েছি যাযাবরের মত ঠিকানাহীন,
পাইনি কোনদিন মাতা-পিতার স্নেহের পরশ মাখা আদর
শত দুঃখে তাদের শেষ উপহার দিয়েছি দুটি সাদা চাদর!
আমি অসহায় তাই সমাজের কাছে থেকে পেয়েছি অবহেলা
অফুরন্ত পথ অতিক্রম করেও শেষ হয় না কখনো বেলা,
বাঁচব না হয়ত বেশি দিন আর হৃদয়ের যন্ত্রণা উঠছে বেড়ে
অনন্ত ঘুমে বিলীন হয়ে চলে যাব একদিন ধরণী ছেড়ে!


সকলের দ্বারে-দ্বারে হাত বাড়িয়ে চেয়েছি একমুঠো ভাত
অর্থহীন বলে স্বার্থের অভাবে কেউ ধরেনি আমার হাত,
একটু আশ্রয়ের আশায় সবার কাছে কত ছুটে গিয়েছি
কুকুরের মত সর্বদা লাঞ্ছিত হয়ে শুধু কষ্ট উপহার পেয়েছি!
কুড়িয়ে খেয়েছি মানুষের ছুড়ে ফেলে দেওয়া নষ্ট খাবার
মনে কত আশা ছিল সকলের একটু ভালবাসা পাবার,
প্রতি রাতে ভাঙ্গা ঘরে ঘুমিয়ে থাকি ছেড়া পলেথিন পেড়ে
না ফেরার দেশে চিরতরে চলে যাব একদিন মেদিনী ছেড়ে!


নিরাশ হয়ে ছেড়ে দিয়েছিলাম বেঁচে থাকার শেষ আশা
তখন বসন্তের ফুল হয়ে ফুটে আসলো এ জীবনে ভালোবাসা,
আমার হাতটি ধরে শিখিয়েছিল সে জীবনে বাঁচার মানে
সমস্ত বেদনা মুছে দিয়েছিল তার তুলনাহীন প্রেমের দানে।
মেনে নিলোনা আমাদের সম্পর্ক এই সমাজ ও তার পরিবার
ছোট্ট ভাঙ্গা ঘরে অগুন জ্বালিয়ে করে দিলো সব ছারখার,
সেই উদার ভাবনাশীল প্রেম দানকারিনীকে নিলো ওরা কেড়ে
মৃত্যু যন্ত্রনা বাড়ছে প্রতিক্ষণে চলে যাব একদিন অবনী ছেড়ে!


বামুন হয়ে ধরতে চেয়েছিলাম ঐ আকাশের সুন্দর চাঁদ
ভুলে গেছিলাম আমি অসহায়- দরিদ্র তার প্রেমে হয়ে উন্মাদ,
প্রেমের মূল্য দিলোনা কেউ ছিলোনা আমার কোন অর্থ
হৃদয়ের মাঝে তাকে য্বত্নে বসিয়ে ভালোোবেসে ছিলাম নিঃস্বার্থ।
হারিয়ে ফেলেছি চিরতরে সেই করুণাময়ী প্রিয়ার মুখ
মুছে গেল এক মূহূর্তের মধ্যে উপহার পাওয়া কিছু সুখ,
আমার প্রাণ হরণ করতে ভয়ংকর মৃত্যু আসছে তেড়ে
চিরতরে বিদায় নিয়ে চলে যাব একদিন বসুধা ছেড়ে!


রচনাকালঃ- ২৫/১১/২০১৬