আমি চিরতরে দূরে চলে যাব
হয়তো সেখানে শান্তি খুঁজে পাব,
ক্লান্ত দুপুরে দেব বৃক্ষের ছায়া
সেদিন ব্যাকুল মনে জাগবে মায়া।
আমি মৃদু অনিল হয়ে এসে
তোমায় আলিঙ্গন করব ভালোবেসে,
সেদিন শিরের কুন্তল থাকবে দুলতে
কভু আমায় পারবেনা ভুলতে!


আমি বাদল দিনের বৃষ্টি হয়ে
ঝরে যাব তোমার হৃদয় ছুঁয়ে,
ভেজা গোলাপ হয়ে ধরব হাত
মনে পড়বে মোরে দিয়েছ আঘাত!
সেদিন পুর্বের অতীত ভেসে উঠবে
হয়তো সুকনো পাদপে রঙ্গন ফুটবে,
ছুটে যাবে ওই কুসুম তুলতে
কভু আমায় পারবেনা ভুলতে!


আমি শরতের সাদা জলদ হয়ে
শিউলির সুগন্ধ নিয়ে আসব বোয়ে,
সেদিন শেফালি পুষ্পের গাঁথবে মালা
তোমার হৃদয়ে ধরবে বড় জ্বালা!
প্রতিটি তিমির রাতে থাকবে নিঃসঙ্গ
বেদনার অশ্রু ঝরে ভিজবে অঙ্গ!
বিস্মৃত মনে ছুটবে কপাট খুলতে
কভু আমায় পারবেনা ভুলতে!


আমি বসন্ত কালের কোকিল হয়ে
শুনিয়ে যাব বিরহের গান গেয়ে,
ভিখারির মত গিয়েছি তোমার দ্বারে
ফিরিয়ে দিয়েছ মোরে বারে-বারে!
নীরবে ঝরেছে মোর আঁখির বারি
অসলে আমিতো বিরহের অধিকারী!
হয়তো পারিনি কখনো সেকথা বলতে
কভু আমায় পারবেনা ভুলতে!


আমি নীল দ্যুলকের পথ ধরে
শীতের শিশির হয়ে যাব ঝরে,
পথ চলতে গিয়ে দাঁড়াবে থমকে
মোর সমাধি দেখে উঠবে চমকে!
অস্পষ্ট হবে সেদিন আঁখির দৃষ্টি
নীরবে ঝরবে কত রোদনের বৃষ্টি!
সেদিন বেরঙিন চিত্র থাকবে ঝুলতে
কভু আমায় পারবেনা ভুলতে!


রচনাকালঃ- ০১/০৭/২০১৭