নিষ্ঠুর খেলা খেলছে বিধান চারিদিকে যেন হাহাকার
লোহার শিকল পারানো কারাগারে আমি বন্দি!
ভাবিনি এমন দিন কখনো আসবে আমার জীবনে
অসহায় আমার স্ত্রী পুত্র কি করে তারা বাঁচবে!


পড়ে আছি কারাগারে গায়ে দিয়ে একটি ছেড়া কম্বল
অর্থ উপার্জন করার জন্য একমাত্র সম্বল আমি ছিলাম,
ভাবনায় আমার হৃদয় কেঁপে যায় এখন কি হবে তাদের
জানিনা এ কোন কষ্টের সম্মুখে ফেললো বিধাতা।


হার মানলো আজ সত্য জিতে নিলো মিথ্যে
সঠিক বিচার পেলামনা এ ভুবনে চাপা রইল তথ্য,
চিৎকার করে বললাম ও ঈশ্বর তুমি শোনো-শোনো
আমার মত এত দুঃখের যেন জীবন আর কাউকে দিওনা!


কারাগারের জীবন এ-যে বড় কষ্টের বড় বেদনার
খাকি পোশাক পরা বাবুরা প্রতি মুহূর্তে দেয় যন্ত্রনা!
একখানি আঁধার ছোট্ট ঘরে আমায় ওরা রাখলো
দিন ফুরালো অনাহারে তৃষ্ণার্ত মুখ গেল শুকিয়ে।


কুঁড়ে ঘরে আমার স্ত্রী নীরবে সারাক্ষণ মগ্ন কান্নায়
একফোটা দুধের জন্যে পুত্র আর কাঁদবে কতক্ষণ!
আর কি করবে তা ছাড়া আজ ওরা তো বড় অসহায়
ঈশ্বর যেন আজ নিরুপায় হয়ে কিছু দেখতে পাইনা।


একটি দুঃসংবাদ কারাগারে আমি শুনতে পেলাম
ফাঁসির জন্যে নাকি দিন ধার্য করা হয়েছে,
সেই কথা শুনে মোর বাহুবল গেল কোমে
দুনয়ন থেকে ঝরতে লাগলো অজস্র নোনা জল!


রচনাকালঃ- ৩০/০৪/২০১৭