গাঁয়ের পাশে চলে গেছে ভাগীরথি এক নদী,
দুচোখ মেলে চেয়ে দেখি শীতল জল বইছে নিরবধী।
গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখ গুহা থেকে তার সৃষ্টি,
শান্তি আসে প্রকৃতি হাসে দেখি যত দূর যায় দৃষ্টি।
গঙ্গা তরঙ্গিনীর শত অবদান তার পবিত্র শীতল জল,
প্রকৃতির তরে সময়ের সাথে সারাক্ষণ বইছে অবিরল।
এ'গাঁয়ের মাটিতে ভুলবনা কখনো তার অবদান,
করেছে উর্বর ক্ষেতের মাটি সবুজ শস্য দিয়েছে দান।
ধান ক্ষেতে সেচের জন্য পেয়েছি তার তরে জল,
সবুজ ফসলের আগমনে ছুটে আসে কত পাখির দল।
বাংলার প্রতিটি ঘরে-ঘরে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি,
স্বপ্নের জমিতে ফসল ফলে তখন আমরা হই কত খুশি।
গাঙের জলে বাঁধ নির্মান করে লাগিয়েছি কত কাজে,
উপকারিতার নমুনা দিয়েছে সে কতনা বহুরূপ সাজে।
বাংলার মাটির স্তরে-স্তরে রয়েছ প্রবাহিনীর অবদান,
ভুলে গেছে দেশের মানুষ তৈরি করেছে ব্যবধান।
আজ সারা বিশ্বের স্বরিৎ গুলি হয়েছে বিপদমুখি!
তারই কারণে সমাজ ব্যবস্থা হয়ে পড়ছে কত অসুখি!
নিষ্ঠুর খেলা খেলছে মানুষ সুন্দর প্রকৃতির সঙ্গে!
এবার আসছে ভয়াবহ প্রলয় দ্রুত ছুটে আমাদের বঙ্গে!
কল-কারখানা গুলো গড়ে উঠছে স্রোতস্বিনীর তীরে,
ময়লা আবর্জনা জলে ফেলে দূষণ করছে ধীরে-ধীরে।
রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থে করছে শৈবালিনীর জল নষ্ট,
একদিন দেশের মানুষকে ভোগ করতে হবে বড় কষ্ট!
শহর নগরের বর্জ্য পদার্থ এসে তটিনীতে হয় র্নিগত,
অতিমাত্রায় দূষণ বাড়ছে আমরা নই কেউ অবগত।
আবর্জনা র্নিগত হয়ে নির্ঝরিনীর গভীরতা যাচ্ছে কমে,
লুপ্ত হচ্ছে তরঙ্গিনীর জল নোংরা বর্জ্য পদার্থ জোমে।
আজ উঠিয়েছি চেতনার স্লোগান নদী বাঁচাও!
সুন্দর পরিবেশ গড়ব মোরা দূষণ হটাও।
জলাশয় গুলিকে চিরতরে দূষণ মুক্ত না করলে,
বিলুপ্ত হবে মানব সমাজ প্রকৃতির মহা প্রলয়ের কবলে!


রচনাকালঃ- ০৬/১১/২০১৬