দীর্ঘ মার্গ গমন করে হই ক্লান্ত
তৃষ্ণার্ত অধ্বগের মতো খুঁজি তোমায়!
এতদিন তুমি ছিলে খোয়াবের পরী
ডহর ক্ষণদায় লিখি কত রুপকথা।


কল্পনায় আঁকি না দেখা মলিন অনন
অজানা ছোঁয়া যেন প্রতিক্ষণে ভাবায়,
তবু প্রশ্নের শৃঙ্গী জমে হৃদয়ের মাঝে
নসিবের কৃপায় পরবাদ খুঁজে পেলাম।


প্রত্যাশী প্রহর শেষে দেখলাম কিরণ
তুমি এলে পূর্ণিমার মৃগাঙ্ক হয়ে,
ছড়ালে শূণ্য বাগিচায় উদাসীন প্রভা
কোমল হস্তে দূর করলে বিষন্নতা।


তুমি এক নিস্তব্ধ প্রকৃতির রূপ
শিরের অলক যেন দ্যুলকের অম্বুদ,
বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা নামে
তুমি জ্বেলে দাও প্রণয়ের দীপক।


দেখি আমার প্রতি অজস্র মোহ
পাই না বলা লুকিয়ে থাকা আদর,
তিস্তার মতো চঞ্চল হরিণীর চেতনা
যেন অনন্য অনুভবে তীব্র আঁধি।


সওগাত দিলে চিত্তে উদম আসক্তি
অস্তিত্বহীন যুবকের শেষ গন্তব্য তুমি,
ক্লেশের কালিতে অদৃষ্ট লিখেছে লিপি
অহরহ পাই তোমাকে হারানোর ভীতি!


রচনাকালঃ- ১০/১১/২০১৭