সেদিন বাংলার মাঠে ঘাটে খুঁজলাম কতো
গঙ্গার তীরে বসে করলাম অপেক্ষা,
এত দিন পৃথিবীর বুকে ছিলাম আমি চির বিরহী!
আবেগের ফুল ফুটল চাঁদনী উঠল গগনে
গভীর নিশিথে আমার মন উঠল কেঁদে!
ঐ আকাশপানে ভাসিনীর তরে
প্রকৃতির ছাউনি ঘর ছেড়ে-
বেরিয়ে গেলাম সেই কদম তলায়।
নদীর ওপারে গভীর বনে যে কিশোরী লুকিয়ে ছিল
আমার এ নয়ন পেল তাকে খুঁজে,
সে রাতে জেগেছিল বহু তারা
মেঘের আঁড়াল থেকে সে আমায় দেখে
দ্যুলক থেকে নেমে এল জমিনে।
ভাসিনী কেঁদে উঠল করুণ সুরে!
দুহাত বাড়িয়ে তাকে টেনে নিলাম বুকে;
সে এক শেষ প্রহরের ঝড়ের মতো
অগ্নির সমতলে জ্বলে উঠেল মধুরাত।


সে মাথার ঘোমটা সরিয়ে দিতেই
চোখে চোখ রেখে চেয়েছিলাম তার তরে,
অঙ্গনাকে স্পর্শ করে মনে হল
সে যেন বহুকাল ধরে চেনে আমায়।
না জানি কোন প্রতিক্ষিত প্রেমিকের রূপে
দেখেছিল জ্যোৎস্না অধীর দৃষ্টিতে,
সবুজ মাঠের প্রান্তে জোনাকির ভিড়ে
ঐতিহাসিক কোন এক রাজ প্রাসাদের দ্বারে
ঐ দুর আরব সাগরে থর মরুভূমির সঙ্কটে।
এক গ্লাসে মোরা মদিরা পান করে
সারা রাত করলাম কতো গল্প,
জন্ম জন্মান্তরের নির্জন রাতে
তার কোমল ঠোটে আঁকলাম চুম্বন!
খেলাম পূর্ণ বাসনায় যৌবনের মধু!
দেখলাম মেঘের খোঁপা থেকে ঝরে পড়া ফুল
গভীর নিদ্রায় মগ্ন তার নিস্পাপ মুখ।


রচনাকালঃ- ১৫/১১/২০১৮