কবি রিঙ্কু রায় কে এই কবিতাটি তিনি উৎসর্গ করেছেন।
----------------------------------------------


ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ শহরে
আবির্ভাব হল একটি নতুন মুখ,
ভাই বোনের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে
খুঁজে পেলাম হারানো কিছু সুখ।
আমার প্রিয় সকলের মনের মত
তুমি ভাবনাশিল কবি রিঙ্কু রায়,
সার্থক হয়েছে তোমার জীবন
আমি সেই কথাটা বলে যায়।
তোমার ছবি দেখতে পেলাম
রঙিন ফুলের মাঝে গভীর বনে,
তোমার ছবি আঁকছি বসে
একাকি নিরালায় প্রতিক্ষণে।
পড়েছ তুমি কোরআন বাইবেল
পড়েছ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গীতা,
কবে শুনব ওই মধুর কন্ঠে
আমার লেখা একটি কবিতা!


দেখেছি তোমার মলিন মুখে
সে কতনা শান্তির ছায়া,
দেখেছি তোমার ওই দুটি নেত্রে
লুকিয়ে থাকা অজস্র মায়া!
লিখেছ তুমি হাজারো কবিতা
সাজিয়েছ অপরূপ ভাবে ছন্দ,
তুলনা হবেনা তোমার কবিতার
যতই বলুক না কেন সকলে মন্দ!
লিখেছ তুমি নাটক উপন্যাস
লিখেছ কতনা সুন্দর গল্প,
পাঠ করলেও শেষ হবেনা
এই জীবনটা যে বড় অল্প!
রাতের আঁধারে লিখছি সাহিত্য
চারিদিকে শুধুই যেন নীরবতা!
কবে শুনব ওই মধুর কন্ঠে
আমার লেখা একটি কবিতা!


ধন্য তুমি ধন্য তোমার জীবন
সফল হয়েছ কবি রিঙ্কু রায়,
তোমার মধ্যে আছে উদারতা
তারার উজ্জলতা দেখতে পাই।
অপরূপ জ্ঞানের মাধুর্য দিয়ে
প্রতিনিয়ত করেছ কবিতা সৃষ্টি,
উনমুক্ত শব্দ হৃদয় স্পর্শ করে
যেন ঝরে পড়ে অন্তরীক্ষের বৃষ্টি।
এভাবেই লেখনীর মধ্য দিয়ে
জ্ঞানের মুক্ত কোরো দান,
আসছে শুভ দিন আগামী লগ্নে
তুমি বাংলার বুকে পাবে সম্মান।
উদয় হবে আগামী দিনে
এক নতুন রূপে সবিতা,
কবে শুনব ওই মধুর কন্ঠে
আমার লেখা একটি কবিতা!


সর্বদা তোমার হাসিখুশি মুখ
ব্যাকুল প্রাণে দেয় দোলা,
শিশুর মত ওই কোমল হৃদয়
বর্ষণ করে শান্তির গোলা।
কবিতার মধ্যে ব্যবহার করেছ
কত সহজ সরল ভাষা,
তার কারণে পেয়েছ তুমি
সারা বাংলার অফুরন্ত ভালোবাসা।
ঈশ্বরের অসীম কৃপার দানে
তুমি পেয়েছ মধুর সুর,
সুরের ছন্দে ঝরে পড়ে
অগণিত মনি মুক্তার নূর।
হারিয়ে যাব চিরতরে একদিন
তাই মনে জাগে শূন্যতা!
কবে শুনব ওই মধুর কন্ঠে
আমার লেখা একটি কবিতা!


তাইতো অনেক তপস্যার ফলে
আজ তুমি হয়েছ আবৃতিকর,
সুমধুর কন্ঠস্বরে মুগ্ধ হয়েছে
বিস্তীর্ণ বাংলার প্রতিটি ঘর।
তোমার কন্ঠের প্রতিটি স্তরে
রবীন্দ্রনাথের কবিতার হার,
তোমার কন্ঠে শিহরণ জাগে
কাজী নজরুলের বিদ্রোহী হুংকার!
তোমার কন্ঠে বেজে ওঠে
জীবনানন্দ দাসের প্রকৃতির রূপ,
তোমার কন্ঠে বিরাজমান আছে
সুকান্তের জমে থাকা বেদনার স্তুপ!
নিরাশার আবরণে ঢেকে গেছি
তাই জীবনে রয়ে গেল অপূর্ণতা!
কবে শুনব ওই মধুর কন্ঠে
আমার লেখা একটি কবিতা!


আমি বীর চির বিদ্রোহী
তাই সাম্যের গান গায়!
আমার গানে সুর দিও
উদার প্রিয় কবি রিঙ্কু রায়।
আমি এক ভাবুক কবি
সর্বদা করি ভাবধারায় বিশ্বাস,
আজীবন শ্রদ্ধা করে যাব
শরীরে চলবে যতদিন নিশ্বাস!
আমি অফুরন্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই
ওগো প্রিয় কবি রিঙ্কু রায়,
তোমার পবিত্র চরণ ধূলিতে
সর্বদা দিও মোরে ঠায়!
ধীরে-ধীরে অসুস্থতার বেড়াজাল
তৈরি করছে ভয়াবহ নিঃসঙ্গতা!
কবে শুনব ওই মধুর কন্ঠে
আমার লেখা একটি কবিতা!


রচনাকালঃ- ১৭/০৩/২০১৭