ভায়ের প্রতি ভালোবাসা আছে অনেক বিশ্বাস
সে যখন সামনে আসে ফেলি দীর্ঘ নিশ্বাস,
তাকে আমি ডাকলাম ভ্রমণ করব বলে
একি সাথে ঘুরব মোরা যাব দুজন চলে।
অবশেষে সহোদর এল দিল সে দেখা
হাসি ঠাট্টা আর গল্প গুজোব সবই হলো শেখা,
জিন্স প্যান্ট আর টিসার্ট সঙ্গে একটা বাইক
চোখে আছে সানগ্লাস মুখে সিগারেটের পাইপ।
একটু খানি এগিয়ে দেখি সামনে একটা নদী
অনেক তাড়া আছে মোদের তরী আসে যদি,
অবশেষে নাও এলো আছি মোরা দুজন
যাব কোথায় হারাব কোথায় জানে আর কজন।
তটিনী পার করেই চেপে গেলাম বাইকে
ছুটলাম পলসন্ডার দিকে এবার মোদের দেখে কে,
একটু থামার সময় নেই ছুটছি পবন গতিতে
কার্য কলাপ ঘটছে যা কিছু দুজনের সমমতিতে।
এদিক ওদিক দেখছি মোরা লক্ষ্য ছিল নারী
আজ মোরা দেখিয়ে দেব অনেক কিছুই পারি,
দুদিকে সুন্দর দৃশ্য মধ্যেখানে ফাঁকা রাস্তা
গাড়িতে বসে খাচ্ছি বাদাম আর পাস্তা।
একটু পরে থেমেই মোরা তুললাম অনেক ছবি
দিগন্তের দিকে চেয়ে দেখি আমিও একজন কবি,
পথের ধারে বসে দেখি যত দুর যায় দৃষ্টি
সবুজ ক্ষেত বহুরূপ সাজে প্রকিতিরই সৃষ্টি।
দোকানে গেলাম আমি কিনলাম অনেক খাবার
খাওয়ার পরে ছুটলাম যেখানে ছিল যাবার,
সামনে এগিয়ে দেখি এমন একটি মেয়ে
প্রতিমার সাজে দাঁড়িয়ে আছে সারা জগৎ ছেয়ে।
এত সুন্দর দেখতে যে মুখ ফেরানো গেল না
এমন রূপময় কামিনী কোথাও খুঁজে পাব না,
চোখে চোখে কথা হল মনে আছে মিল
বুকের ভিতর ঘন্টা বাজে ছুড়লাম শূন্যে ঢিল।
আমায় দেখে সে একটু খানি দিল মুচকি হাসি
ভাবলাম এইবার বলেই ফেলব তোমায় ভালোবাসি,
রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল নীল পরীর বেশে
তার কাছে যেতেই হারিয়ে গেলাম ভিন্ন রঙ্গিন দেশে।
তাকে প্রপোস করতে পারলামনা আমি একটা গাধা
অনন্তকাল ভালোবেসে যাব থাকবেনা কোন বাধা,
তোমার প্রেমের ছোঁয়া পেয়ে ধন্য হল জীবন
সুখে থেকো ও রমণী তুমি সফল হল ভ্রমণ।


রচনাকালঃ- ২০/০৪/২০১৭