জানিনা কেন আমার মনাকাশ আজ গুরু গম্ভীর
এই বুঝি চমকালো বিজলি-ক্ষত ফেললো গভীর,
মৃত্তিকায় গড়া অবয়বের মুখখানি হয়- ফ্যাকাসে
প্রাণহীন দেহের সাথে দেহের মিলন- বাতাসে,
আজ আমার চিন্তা ঘূর্ণাবর্তের ঘূর্ণিতে খাচ্ছে পাক
গভীর থেকে গভীরে-নিগূঢ় থেকে নিগূঢ়ের ডাক,
স্পৃহা-চেতনাগুলি হয়েছে আমার, শ্রাবণের মেঘ
নিথর আমি, অনুভূতি হাতাতে মেঘ পায়নি বেগ,
জানিনা, কেন আমার অনুভূতির হচ্ছে রক্তক্ষরণ
অনুভবের সকল ভাবনা, কে যেন করেছে হরণ,
আমার ক্ষোভের উপর-মহীতল পেতেছে আসন
ক্ষোভের উদগীড়ণ যখন-জানি ভাঙবে ইন্দ্রাসন,
আমার কবিতা লেখার আবেগ-অন্দরের প্রেরণা
কেন পত্রে নয়, ছত্রে নয়, ছন্দে হয় শুধু যন্ত্রণা,
আজ ভুলে গিয়েছি, আমি পৃথিবীতে বেঁচে আছি
আমার পরিবার-সন্তানাদি-লাগতেছে মিছেমিছি,
আমার দায়িত্ব আজ রহিত, পুরোপুরি অবদমিত
কেন জানি মনে হচ্ছে এটা ধ্রুবসত্য-এটা প্রমিত,
আমি প্রশ্ন করি নিজেকে, কেন আজ এমন হচ্ছে
আমাকেও পারিনি বলতে আমি, থাকলেও ইচ্ছে,
ভাব তরীকে তৃতীয় চক্ষু যখন, টেনে নেয় বুকে
হারিয়ে ফেলি অস্তিত্বকে, শূন্যতারই বুকে ধুকে,
হয়ে যাই নিঃসঙ্গ একা বুঝিনা যে থাকা না থাকা
নীচে থাকেনা মাটি, উপরে আকাশ, শুধুই ফাকা,
চারদিকে মহানিশার নিশুতি-প্রততি, আমি একা
ডানে-বামে-অগ্র-পশ্চাতে কেউ নাই, আমি একা
জনশূন্য নিস্তব্ধ দ্বীপে নিঃসঙ্গ নির্বাক আমি, একা।