তোমার মায়াময় কলম ছোঁয়ায়- জেগে উঠেছিলো এই মরলোক
নদী তরঙ্গ কলতানে-বাতাসের দোলক,
অশান্ত জনপদে কাব্য দিয়ে শোধন করেছো সবার- মন মনন
মোহন বাঁশী সুরে দিলে- শান্তির আবরণ,
ছন্দের ছন্দে জেগেছিলো সাম্যের জাগরণ।


হে নজরুল ইসলাম-তুমি চারু-অপার,
হৃদয়ে এখনো বেঁচে আছো সমভাবে- যেমনটি ছিলে যুদ্ধে দুর্বার
এইপার ঐপার-এখনো করো পারাপার।


কাব্য দিয়ে করেছো মাতোয়ারা-পাগলপারা,
তোমার কাব্য তালে তুলে তাল-পৃথিবী মাতায় গগনের যত তারা
ময়ূরের দলেরা- পেখমে তুলে ছন্দধারা।


মুসলিম-বৌদ্ধ-হিন্দু-খ্রীষ্টান-গায় তোমার লিখে যাওয়া যত গান
ভুলে গিয়ে ভেদাভেদ- ঐক্যে আনে প্রণিধান,
তোমার নান্দনিক কবিতা গেঁথে গিয়েছে-সৃষ্টিকর্তার বিধিবিধান
ধান-কুলার- মুখরিত ছন্দে- তৃপ্ত কৃষাণ,
চোখে মুখে কলতানে-কৃষাণীর খুশি শান।


তামাম মানবকুলের তুমি-কাব্য কালাম,
কবিতার বিধানে আছে যত নাম-সবি নিয়ে ঘুরছে কাব্যবালাম
তুমি কবি শিরোমনি-নজরুল ইসলাম।