রক্তক্ষরণ


রক্তের অশ্রু বন্যা বহে- দুচোখ বেয়ে আমার
দুঃখ সহেনা কভু এ হৃদয়ে আর,
ছুরিতে- গুলিতে ক্ষতবিক্ষত বেদনা বিধুর প্রাণ
অক্ত যন্ত্রণায় ছটফট করি-জ্বলে শিখা অনির্বাণ।


আমার স্বাদ-আহলাদ আনন্দ-ফুর্তি, আজ বন্দি
পাবো কি মুক্তি জীবনাবধি, করি সন্ধি,
দেখি আর ভাবি-এই কি ধরিত্রী, স্বপ্নের অপ্সরী!
অন্যের স্বপ্নকে ভেঙ্গে, গড়ি ভঙ্গুর সুখের গিরি।


অবনীতে আছে যত তৃষ্য প্রাণ
মন তত পুষে বিবেক সন্তান,
তূর্যনাদে যখন হয় প্রাণ হরণ
বিবেক সন্তানের তথা সহমরণ।


এ কি সৃষ্টির পরিহাস,
নাকি নগ্নতায় আমাদের উল্লাস!,
এ কি ধরাবাঁধা নিয়ম,
নাকি নিয়মভাঙ্গা শীর্ণ অনিয়ম।


ভেদ রহস্যের যত করি অন্বেষণ
তত হয় ঘৃণার রক্তক্ষরণ,
নিজ হস্তে স্বর্গকে গলা টিপে মেরে
হরণে খুজে ফিরি সুখেরে।


এ এক নির্মম- চরম- মরম- আদম উৎপীড়ন
দেখে সহেনা-মনে ধরেনা, অবিরত রক্তক্ষরণ।