তোমার জ্যোৎস্নার মতো শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
আমার রাত জাগানো স্বপ্ন গুলি বাস করছে হাজার বছর ধরে,
এ হৃদয়ের কালসিটে
চোখে, মুখে,  বুকে, হাতে আর পায়ে
তোমার আমার এক আঙুল বিচ্ছেদ ডানা ঝাপটায় ।
এক লক্ষ বার তোমাকে এ শরীরে মেখেছি
কল্পনার আগুনে সেঁকে হৃদয় খানি,
ফুঁটপাতেও দেখি কিলবিল করছে স্বপ্নের জ্যোৎস্না
তোমাকে, শুধু তোমাকে অলীক স্পর্শেই ছুঁয়ে এলাম পঁচাত্তর বছর ধরে ।


সেই শেষ পাশাপাশি দুটি কাঁধে মিশেছিলো পাঁকিয়ে ওঠা শরীরের
মাংস পেশি, অস্থিমজ্জা কি ভীষন ----
তোমার অন্তরে মিশে যাওয়া আমি
এক নিমেষে তোমায় নিয়ে নিজেকেও হারিয়ে ছিলো
আমার রোমকূপে তোমার ক্ষুধাতুর আঁচর আর নরম দেহের লালসার আস্তরনে ।


হায় !
আজ কেবল দীর্ঘশ্বাস বেঁচে আছে সেই নামে ----
আমার ফুসফুসে
শিরায় শিরায়, স্নায়ু আর নিউরোনে
এমন কি এ দেহের প্রতি কোষের প্রতিটি সেলে ।


সেদিন তোমার অচেতন রক্তিম মুখে মৃদু শব্দে শুনেছিলাম তবু
"আজকের মতো একশো বছর পর,
এ যৌবন নদ যদি শুকিয়ে যায়
তখনো কি এভাবেই ভালবাসবেন ?"
হায় ! আমি মৃতের মতন ঘুমিয়ে গেছিলাম তোমার মৃত দেহের ওপর...
আজ হঠাৎ দরজার কড়া নড়ে, অন্তর থেকে অন্তর্যামী বলে ওঠে
"ফিরে এলে বুঝি নাটোরের
বনলতা সেন ?"