ট্রিস্কাইডেকাফোবিয়া হল ১৩ দেখে ভয়,
অশুভ এই ১৩ কে করতে হবে জয়।
বিড়াল দেখে ভয় পায় এলুরোফোবিস্ট
জুয়োফোবিস্ট ভয় পায় যদি দেখে বিস্ট!
অ্যাস্ট্রোফোবিস্ট ভয় পায় বিদ্যুৎ চমকালে,
পোটোফোবিস্টের বড্ড  ভয় এলকোহলে।
ভয়কেই ভয় পায় ফোবোফোবিস্ট!
'হোমিচলো' ভয় পায় যদি দেখে মিস্ট।
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান,
বৃষ্টি দেখে অমব্রোফোবিস্টের ওষ্ঠাগত প্রাণ!
'ক্লসট্রো' হল আটকে পড়া, 'ব্রনটো' হল বাজ
মাকড়সাকে ভয় পাওয়া আরকেনোফোবিস্টের কাজ।
সামান্য কাগজ দেখে কেউ পায় ভয়?
প্যপিরোফোবিস্ট ভাই তাহাকেই কয়।
'জয়ান্থো' হলুদ আর 'সেলেনো' হল চাঁদ
ভুবন জুড়ে পাতা আছে ফোবিয়ার ফাঁদ।
অহেতুক ভয় পায় যদি দেখে ছায়া
ডাক্তার তাকে বলে শিয়োফোবিয়া।
এমটোফোবিস্ট ভয় পায় যদি দেখে বমি
সেনোফোবিস্ট ভয় পায় দেখে ফাঁকা জমি।
ওপারে হচ্ছে ভাজা কচুরি খাস্তা
ড্রোমোফোবিস্ট তবু ভয়ে পার হবে না রাস্তা!
'সিডরোড্রোমো' হল ট্রেন 'কাইনেটো' গতি
হেমাটোফোবিস্ট ভয় পায় রক্তকে অতি
'অ্যাক্রো' হল উচ্চতা, 'এরো' হল বায়ু
মিছিমিছি ভয় পেলে কমে যাবে আয়ু।
সবচেয়ে ভয়ংকর জীব জানো কী?
দু'পেয়ে মানুষ, তাও বলে দেব নাকি!
অ্যান্থ্রোফোবিস্ট ভয় পায় সেই মানুষ দেখে
আর সব ফোবিস্ট যেন তাকে দেখে শেখে।
সবচেয়ে র‍্যাশনাল গাইনেকোফোবিস্ট
কাকে তিনি ভয় পান? স্নেক নাকি বিস্ট?
ছায়া নয়, জল নয়,  নয় তা আগুন
সবচেয়ে ভয়ানক,  ভাবুন ভাবুন।
'দেবা না জানন্তি!' কে করবে মোকাবিলা?
ভয়ংকরেস্ট তিনি- হলেন মহিলা!😆


নোটঃঃ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (BCS)  বা আমাদের WBCS সহ অন্যান্য চাকরির পরীক্ষায় বিভিন্ন ফোবিয়া নিয়ে প্রশ্ন আসে। আমার ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধার জন্যই এটা লিখেছি।এটা কবিতা নয় সেই অর্থে।