বৃষ্টি_বিলাসিতা


কোনো এক আষাঢ়ের ঝুম বৃষ্টিতে
মেতে উঠবো আমরা বৃষ্টি বিলাসিতায়।
জানালার পাশে বসে তুমি আর আমি।


বাইরে ঝুম বৃষ্টি -
কোমল দুটি হাত দিয়ে বারবার
- বৃষ্টির জলগুলো ছুয়ে দিবে তুমি।
ছন্নছাড়া বাতাস তোমার চুলগুলো
এলোমেলো করে দিবে বারংবার,
তবুও তুমি ক্ষান্ত হবেনা একবারের জন্য।


তোমার মুখ জড়ানো থাকবে স্পষ্ট হাসির রেখা।
অবাক চোখে তাকিয়ে রইবো আমি
-তোমার ওই মায়াবী মুখের দিকে।
উন্মাদ হয়ে যাবো আমি তোমার ভাবনার ঘোরে।


হঠাৎ এক ছন্দহীন কবি হয়ে যাবো,
হয়তো তোমায় ছন্দে ছন্দে ফুটিয়ে তুলতে পারবোনা।
জীবনানন্দ যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলো
নাটরের বনলতাকে
তবুও থাকবেনা ভালোবাসার কমতি।


সেই আষাঢ়ে ঝুম বৃষ্টি যেনো থামার নয়।
ক্রমেই বেড়ে চলবে ঝড়ো হাওয়া।
হঠাৎ গগনটা যেন চৌচির হয়ে যাবে,
বিদ্যুৎ চমকানোর আলো বিচ্ছুরিত হয়ে
তোমার মুখে ঠিকড়ে পড়বে।
তখন এলোচুলে তোমায় লাগবে নেমে আসা সর্গের দেবী।


আচমকা মেঘের গর্জনে ভয়ে কুকড়ে গিয়ে
তুমি মুখ লুকাবে আমার লোমশ বুকে।
আলতো হাতে তোমায় বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলবো
- ভয় কেনো পাও পাগলী আমিতো আছি।