ধিক তব এ বর্বরতা, ধিক তব মনুষ্যত্ব হীনতা,
ধিক্কার তব মনুষ্য হত্যার এ রাজনীতি,
আশরাফুল মাখলূকাতের মাঝে এত বর্বরতা?
শুনেছি মানুষ অমানুষ হয়ে যাই, হয় অসুর।
কিন্তু কখনো ভাবিনি পশুত্ব মানুষকে নিয়ে যাবে
এত নিষ্ঠুরতায়, নির্মমতা আর নীচতায়।
জলজ্যান্ত মানুষকে বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করা,
পেট্টোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষকে দগ্ধ করা,
গান পাউডার ছিটিয়ে যাত্রীসহ বাস পুড়িয়ে দেওয়া,
লাখো যাত্রীবাহী রেলগাড়ির স্লিপার খুলে দিয়ে
মানব হত্যা বা চির পঙ্গু করে দেওয়া,
লঞ্চে আগুন দিয়ে নদীবক্ষে আত্মহুতি দিতে বাধ্য করা,
এ যেন আজ অপরাজনীতির হোতাদের হুলি খেলা।


গন-মানুষের কল্যাণকামীতার বেশধারী,
হীন মানসিকতার ধারক, বাহক  ও অভিশপ্ত,
অপয়া, অসুর, ধিকৃত, পাপিষ্ঠ এ মানুষেরা।
আগুনের দহনে বিকৃত, বীভৎস, অঙ্গারে পরিণত
মানুষের মুখাবয়ব দেখেও বিচলিত নয় এরা।
চাই রক্ত, চাই মানুষের জীবন, চাই বিকলাঙ্গ মানুষ,
চাই প্রতিশোধের অনির্বান শিখা, নিরঙ্কুশ ক্ষমতার মসনদ।
সন্তানহারা পিতা-মাতার বুক ফাটা আত্ম চীৎকার,
সন্ত্রাসের আগুনে ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন স্বজনের আহাজারী,
তাদের একটুও তলাতে পারেনি রক্তের হুলিখেলা থেকে।
মনুষ্য হত্যা যে পাপাচার, তা কখনো ভাবেনি দুরাচারেরা,  
ভাবেনি একদিন কর্মফল নিয়ে মুখামুখি হতে হবে স্রষ্টার,
দুরাচারে লিপ্ত, মানুষের রক্তচোষা অন্ধ এ পাপাচারিরা।
পাপের পরিণতিতে তোদেরও কোল খালি হতে পারে!
হে অনুভূতিহীন, মনুষ্যত্ব বিবর্জিত, বিবেকহীন মানুষ।


সুমতি ফিরে পাক, বন্ধ হোক হত্যার এই হুলিখেলা।
ফিরে আসুক মানুষের অন্তরে সস্থির নিঃশ্বাস।
এই হোক শান্তিপ্রিয়, অসহায় মানুষের একক প্রার্থনা।