কমলগঞ্জের দক্ষিণ সিমান্তের ঘন অরণ্যবাসী,
হাম হাম জলপ্রপাত, সৌন্দর্যের অপূর্ব প্রতীক।
স্রষ্টার অপরূপ সৃষ্টি, বাংলার উড়ন্ত সরোবর,
প্রকৃতির উদার সেবক, নির্ঘুম সিমান্ত পাহাড়াদার,
সূরের মূর্ষনায় মগ্ন, বনবাসী এক শতবর্ষী ধ্যানী,
শত মানুষের নয়ন জুড়ানো, মনের মাধুরী মাখা,
পাগল পারা, এক দূর্বার দুরন্ত প্রকৃতি প্রেমিক।
কমলগঞ্জের দক্ষিণ সিমান্তের ঘন অরণ্যবাসী,
হাম হাম জলপ্রপাত, সৌন্দর্যের অপূর্ব প্রতীক।
শান্তির বার্তাবাহক, ব্যাস্ত উড়ন্ত এক পায়রা,
এসেছে ক্ষণিক আগে সিমান্ত পাড়ি দিয়ে,
আর সুরেলা আওয়াজে শুধু জপছে, জপছে,
শান্তি শুধু শান্তি। দেখলে মনে হয়, অপুর্ব,
অভিজ্ঞতার ভারে নুজ্য, সালিসে ব্যাস্ত,
কোন এক গ্রামের বিজ্ঞ গ্রাম্য মুড়ল।
কমলগঞ্জের দক্ষিণ সিমান্তের ঘন অরণ্যবাসী,
হাম হাম জলপ্রপাত, সৌন্দর্যের অপূর্ব প্রতীক।
মনে হয় অনেক বছর আগে দেশ ছেড়ে,
গিয়েছিল বিদেশ বিভূঁয়ে, জ্ঞানের সন্ধানে।
ফিরিয়া আসিয়াছে আজি, স্বদেশের মাটিতে,
তাইতো এসেছে দর্শনার্থীরূপী এত দেশবাসী,
ঝর্ণার পাদদেশে, ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে।
কমলগঞ্জের দক্ষিণ সিমান্তের ঘন অরণ্যবাসী,
হাম হাম জলপ্রপাত, সৌন্দর্যের অপূর্ব প্রতীক।
শ্বেত ভূষণধারী বনবাসী, জ্ঞানের মশাল ধরে
উর্ধগগন থেকে দ্রুত পদে ধরণীতলে এসে,
বিদ্যার বুদ বুদ ছেড়ে, শান্ত স্রোতধারী হয়ে,
বনভেদী খালে, ধীরপদে শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে,
এগিয়ে যাই চির চেনা এক আপন আলয়ে।
কমলগঞ্জের দক্ষিণ সিমান্তের ঘন অরণ্যবাসী,
হাম হাম জলপ্রপাত, সৌন্দর্যের অপূর্ব প্রতীক।