মেঘান্তের বারিধারা পরছে তো পরছেই,
সারা দিন-রাত ধরে ঝরছে তো ঝরছেই।
নেই তার কোন শেষ, নেই কোন বিরতি,...
নেই তার কোন বিশ্রাম, নেই কোন ক্লান্তি।
বারিবাহী মেঘ থেকে অবিরত ঝরে আসা
ঝরণার পানি শুধু ঝরছেই ঝরছে।
দেখে মনে হয়, গগনে উপচানো
মন্দাকিনীর পানিতে সিক্ত আজি এ স্বর্গভূমি,
সিক্ত সব প্রাণীকুল, সিক্ত এ ধরাতল।
নেই আজ কোন মেঘনাদ, নেই মেঘডম্বর্,
নেই কোন ধ্বংস, নেই কোন উৎপাত।
মেঘাগমে (বর্ষাকালে) কত ছিল মেঘাড়ম্বর,
আর আজ মেঘান্তে বাজে শুধু মেঘমল্লার।
আকাশ থেকে ঝরে পরা বারিধারায়,
প্রকৃতি শুধু কাঁদছে তো কাঁদছেই।
নিসর্গের এ কান্না, দেখে মনে হয়,
কোন এক প্রতারিত গ্রাম্য রমণীর
অবারিত অবিকল বুক ফাটা কাঁন্না।
রমণীর ঝরে পরা অশ্রুতে সয়লাব
সুরমা, মেঘনা, কালিন্দী ও কাবেরী।
রাতেও দেখা নেই গগনে কোন চাঁদোনী,
যদিও আকাশেও নেই কোন চাঁদোয়া।
হয়ত অবিরত ঝরা এই বৃষ্টি ধারা,
ব্যত্যয় ঘটিয়েছে কাজে, পথ চলা পথিকের,
দিনান্তে খেটে খাওয়া ঐ দিন মজুরের,
অথবা ফুটপাতে ফেরী করে খাওয়া হকারের।
তবুও শান্তির আবহ্ আজ ঘর আর ঘরণীতে,
থেমে গেছে আজ কৃষকের বিচলিত অন্তর,
খড়ার প্রখরতায় উঠেছিল যার কান্না।
তাই বলি, হে মেঘান্ত, তুমি এস বারে বারে,
মানুষের অবারিত কল্যানের বারতা নিয়ে।