কুরবানীরই ঈদ যে আজই, মুসলমানদের ঘরে ঘরে,
ঈদগাহেতে সবাই যাবে, নমাজ পড়তে খোদার রাহে।
মুসলমানদের খুশির দিবস, ঈদের দিনে নেই ভেদাভেদ,
কাতার বেঁধে সবাই বসে, শান্ত মনে খোদার ধ্যানে।
নমাজ শেষে খুতবা শুনে, করবে সবাই শুকুর গোজার,
দু’হাত তুলে করবে দোয়া, কাতর ভাবে খোদার কাছে।
ত্যাগের জন্য পাগল পাড়া, সব মুসল্লী আসবে ঘরে,
ঈদগাহ ছেড়ে দৃপ্ত পদে, সাথে নিয়ে দৃঢ় ঈমান।
পূর্বপুরুষ ইবরাহীমের ত্যাগের কথা স্বরণ করে,
ঘরে ঘরে করবে কুরবান, প্রিয় পশু সাধ্য মত।
কুরবানীরই মাংসগুলো নিজে খাবে, আবার তা যে
বিলিয়ে দেবে, এতিম মিসকিন সবার কাছে, অকাতরে।
রক্ত-মাংস, ত্যাগের বস্তু, যাবে নাক খোদার কাছে,
যাবে তাহার তাকওয়া যাহা, মনের ভিতর ত্যাগের তরে।
নিজের আয়ের অর্থ দিয়ে, খোদার তরে কোরবান করে,
এসব লোকই পাবে ওরে, দো-জাহানে খোদার দয়া।
ভোগের জন্য উৎসব পালন, জাতি ভেদে সবাই করে,
ত্যাগের জন্য উৎসব করে এ ভূবনে, মুসলমানরা।
খোদার তরে কোরবান হওয়া, কজন লোকের ভাগ্যে জোটে,
খোদার দ্বীনে দাখিল যারা, তারাই পারে, কোরবান হতে।
কোরবানীরই শিক্ষা নিয়ে, হিংসা-বিদ্বেষ, অসৎ চিন্তা,
নির্মুল করি যাহা আছে, লুকায়িত মোদের কাছে।