সময়ের বন্ধ্যাকাল চলছে এখন
জানি না কবে শুরু হয়েছিল সেই বন্ধ্যা ক্ষণ
আমি হেঁটে চলেছি এক উষর মরুতে
মরুর বুকে যেই না পড়ে পদচিহ্ন
অমনি ধূলিঝড় মিশায় সে চিহ্ন ত্বরিতে।


ওই ঠোঁটে যখন চলে কথার ফল্গুধারা
আমার ঠোঁট অস্ফুট স্বরে হয় দিশেহারা
অলস স্থবির সময়ে আমার শামুক
গতির চলন।
স্নিগ্ধ কোমল ফুলের সুভাস খুঁজে চলে মন
ফণিমনসায় সয়লাব যখন আমার এ বাগান
ওপারের আঙিনায় ফুলেল সুঘ্রাণ।


আমি অবুঝের মতন চেয়ে দেখি সময়ের চলা
কী দারুণ ছন্দময় ভঙ্গি যে তার যেন- শিল্পকলা
এ কোন কারিগর চলছে বুনে কৌশলে জাল
আটকে থাকা পতঙ্গ আমি, আটকে রাখে মহাকাল।


আটকে থাকা আমি এক সহায় সম্বলহীন
আমারে করবে যে ত্রাণ আছে কি এমন হীন
যার আশায় আশায় ছুটে চলেছিলেম নিরন্তর
সে ই এসে পথ রুদ্ধ করে, রুদ্ধ করে স্বর।


এখন আমি বেঁচে আছি নিছক মরার মতন
খুঁজি কাল, খুঁজি সময়- যমদূত আসবে কখন
সে প্রতীক্ষায় ঝুলছি আমি সময়ের বন্ধ্যা ক্ষণে
এই পথে ফেরে না সে আর রাখে না আমায় মনে।


তবে হোক অবসান এই বন্ধ্যাক্ষণ
যমের তরে সঁপেছি দেহ, সঁপেছি এ মন।


২৭অক্টোবর২০১৪।