ধ্যান হইলো শেষ মোর কাটিল একেলা বেলা....।
পথ চেয়ে আছি মনে পড়ে যায় তোমার অবহেলা।
হবে কি দেখা ধূলির ধরায় আমি নাহি জানি...।
মনে কি পড়ে আমারে তোমার ওগো বিনোদিনী।।


যেদিন ছিলে বুকের কাছে নিশীথ নিধুবন হাসি"
অল্পতে সুর বাজত ভীষণ বাঁশের বাঁশি।
প্রভাত না হতেই উঠতো ফুটে হিজলের ফুল..
কর্ণে দিতেই খোঁপা হতো সুরভি বকুল।
হাত না ছুতেই হৃদয় ছুঁতে মনোহর লাজে '
হারিয়ে শেষে আজকে আমার তোমার ব্যথা বাজে।
কদমের ফুল ভিজছে জলে যমুনায় নাহিকো পানি..
মনে কি পড়ে আমারে তোমার ওগো বিনোদিনী।


তোমার কলস হলোনা পূর্ণ আমার বাঁশির সুরে ,
জলে ভেসে গেল তাহা বিষাদের গান তুলে।
আমি রইলাম আজও চাহিয়া দুকুল ভেঙ্গেছে জলে ,
দাড়াইতে যাই তোমার নিশাস বাতাস এসে দুলে।
লিখিয়া কি দাও আমারে তোমার মধুর সেই হাসি,
তাই দেখাতে রাতে কি উঠো আসমানের শশী?
বুঝি ভুলিয়া নিভিয়া যাও কালো মেঘে দিয়ে ছানি ,
মনে কি পড়ে আমারে তোমার ওগো বিনোদিনী।?  


জানি জানি মনে পড়েনা আমারে একেবারে গেলে ভুলি,
তোমারে  স্মরিয়া  আজও তো আমি পুষ্প মালিকা তুলি
আজও তো আমি হারানো সুরে তোমারে বাধিয়া রাখি,
আজও তো আমার মন নিকুঞ্জে ভেসে উঠে সেই আঁখি।
ভুরু র তলের মণি র খেলা সন্ধ্যা নিশীথ কালে "
আমারে হেরি তে যাই তো তোমার খোঁপার চুল খুলে।
সেই খোলা চুল আজকে আকুল  হেরি তে কি মোরে চায়?
যমুনা ফেলি রাধিকা রইলো আয়ানের ঘরের ছায়।
আয়ান ঘরে মাঝ নিশীথে স্বপনে চাও মোরে জানি,
মনে কি পড়ে আমারে তোমার ওগো বিনোদিনী।


হইতো যখন কুসুম বেলা ফুল ফুটিবার ছলে "
দাড়াইতে এসে বাতায়নে মোর সুরভী পিঠ মেলে।
সেই ফুলশর আজকে বিভোর বিষাদ কেমনে হলো?
আজও সেথায় ফুটে কমলি রাধিকা না আর এলো।
গাঁথা সে মালা পড়াতে গিয়ে সুঁই বিঁধিল তার,
তাই সে বুঝি মান করিল ফিরিল না আর।
আজও কি বসে শেষ বিকেলে আমারে স্মরণ করি,
দু-ফোটা জল পড়ে গড়িয়ে আচল মেলিয়া ধরি?
না হয় হয়তো পাষাণ হৃদয় বুঝেনা প্রেমের বাণী -
মনে কি পড়ে আমারে তোমার ওগো বিনোদিনী।।


(০৭ শ্রাবণ ১৪২৮)