উত্তরীয় জড়ায়ে কবে প্রথম ফুটেছিল ফুল,
তুলতে সে ফুল হয়নি সময় অতীত ভুল।
একলা একা ছায়ার তলে রবি যখন মেলত বেলা..
উদাস দুপুর সাঁতরে সে গো ফেলতো তাহার ভ্রুরুর খেলা।
চাইনি পানে অভিমানে কোন সে দূরের বঁধু র দেওয়া..
তাই সে ভুলে চাইনি তারে কাটলো কি তাই হারিয়ে যাওয়া?


হারাই ঘরে বিজন পুরে দুপুর বেলার মায়ার যতন,
আপনা রেখে দূর ভুবনে গড়েছে কে অন্য ভুবন।
হারায় কে-রে নিজ বঁধু রে বুকের তলে নিশীথ রাতে,
আধার ঘেরা পথ তারে কি মন যতনে পাই'সে প্রাতে।
শরাব যে তার হাসির ভাঁজে পিপাসা তে মেটাতে জল,
যেই ফেলেছি তুলতে বুনন হারালো সে কোন সে অতল।


উত্তরীয় মাঝ আকাশে মেলত তাহার চোখের ডানা,
আজকে আমার রইল পরে তোমার হাসি খেয়ালীপনা।
দিচ্ছে দুরে আযান সুরে সব পথিকের ফেরায় ঘরে..
আমার বুকের কানন মধু আজকে হেসে ফেরায় কারে?
আলোর ঝলক দেখায় কারে নেভায় কত প্রদীপ শিখা,
চাইনি তারে পাইনি কেন বক্ষে লাগে গহীন একা।


দেয় কারে সে ভোরের বেলায় তাহার সুরের ছিটছিটানি,
আমার মতো তেমন করে পায়নি কেহ তারে জানি।
গভীর রাতে স্বপ্ন ভেঙ্গে কাহার যেন মেললে ধারা...
সাত সকালে দীপ্ত ভাগে আজকে কারে দেয় পাহারা।
ভুল ছিল তাই হারাবার পরে শুধরে যদি উঠে বেদন...
গভীর দুরে আজ মনে হয় ঐ উঠে তার ক্রন্দন কাঁদন।


ঐ উঠে তার গুণ্য মাঝে ঝড় ঝঞ্ঝা বিষের বেণু..
বাধতে যে তার চুল খসে যায় চোখের কোনায় কাঁদন রেণু।
সিনা ন বেলায় ভিজলে ও কেশ মনে উঠে তার সে বিকেল..
সেই বেলাতে ই রইল পড়ে হাতের রেখার চকোরী খেল।
তার অভাবে ভিঝলো তবুও মন বক্ষ আর পুরোনো বেলা...
হয়নি তারে বলা কভু গেল ফেলে রই একেলা।


ওগো সুদূর কাননের উত্তরীয় বঁধু...
যাতনা পেয়ে দিয়েছো প্রেম আর ঢালিছো মধু...
উত্তরীয় বঁধু.....
সে কথাই মনে করে আজ বারে বারে বুকে ব্যথা লাগে শুধু।।
ওগো উত্তরীয় বঁধু।


২২ জ্যৈষ্ঠ - ১৪২৭