তোমার রক্ত তুমিই কি চেনোনি?
          গিয়েছ কি সব ভুলে?
        তোমার জন্ম মায়ের রক্তে,
            মায়ের বক্ষতলে।
       ভিজলো ভুবন সন্তান শোকে,
            মায়ের অশ্রুজলে,
সব কিছু বেচে নাম লিখিয়েছ রক্তচোষার দলে।


      পাথরের বুকে হাতুড়ি চালিয়ে
          আকর কি খুঁজে পেলে!
         নাকি সবই বৃথা পন্ডশ্রম,
          রইল মাটি অবহেলে।
   স্রোতের উজানে ভাসলো যে মানুষ,
           তরী ডুবলো যে জলে।
গোধূলির আঙিনায় সুপ্ত রাতের নিশাচর,    
       পাহারায় সন্ধ্যে নামবে বলে।
             ভ্রূণশিশু নেশাগ্রস্ত,
            নিকোটিনের কবলে।
             প্রশ্বাসে টানে বিষ,
             বিশ্বাসের আদলে।
      তবু সব কিছু ভুলে নাম লিখিয়েছ
            রক্ত চোষারই দলে।
       বিবশ রাত্রির তারারা কাঁদলো,
      মুছে গেল চাঁদ দিনের কর্মফলে,
     স্যামের পাখিরা অযথা গাইল গান!
       প্রকৃতি কাঁদলো চিরনিদ্রাতলে,
      ছেয়ে গেল শোক মনের গভীরে,
       সুখের যাত্রা দুঃখের পদতলে।
        মধুর সনে তো ভ্রমর আসে,
             নও তুমি ভ্রমদলে,
সবই অভিনয় ভুলে সবিনয়ে নাম লিখিয়েছ
             রক্তচোষার দলে।
             রক্ত চোষার দলে।


                  *****