আকাশ, তুমি,
বিশাল, বিস্তীর্ণ,অন্তহীন, উদার
এক ঈশ্বরীয় ক‍্যানভাস।


প্রতিদিন ভোরে সূর্যকে কোলে নিয়ে
বেড়িয়ে পড় তুমি, মধ্যগগন হয়ে
পশ্চিম দিগন্তপানে।


সাম‍্যভাবে আলো ও তাপ ছড়াতে ছড়াতে
গাছপাতা ও বিচিত্র জীবকুলকে
সতেজতায় ভরিয়ে দিয়ে, বাঁচিয়ে রেখেছ
বিধাতার সৃষ্ট এই অপূর্ব জগতকে।


সাদা-কালো, আস্তিক-নাস্তিক
সবাই বেঁচে থাক এই সুন্দর ভুবনে
সম অধিকারে, খুশীতে, আহ্লাদে।


তোমাতে উন্মুক্ত, প্রসারিত ব‍্যাপক বায়ুমণ্ডল,
বর্ণহীন গ‍্যাস আর জলকণায় ভরা আবহমন্ডল।


প্রাণীরা বেঁচে আছে বায়ু থেকে অক্সিজেন নিয়ে,
উদ্ভিদ বেঁচে আছে সালোকসংশ্লেষণে,
কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সাহায্যে।


বায়ু দূষণ নয়, বিশ্ব উষ্ণায়ন নয়,
শুদ্ধ বায়ু চাই। ধ্বংস নয়, সৃষ্টি চাই।


সাদা-কালো মেঘ তোমাতে ব‍্যাপ্ত কখনও,
ভেলা বানিয়ে ভেসে বেড়ায় যখনও তখনও,
আপন খেয়ালে বায়ু বাহিত হয়ে।


নীলগগনে পক্ষীকুলের ঝাঁকে ঝাঁকে
এক প্রান্ত থেকে অন‍্য প্রান্তে বিচরণ
অতীব সুন্দর শোভা মনোহরণ।


প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্য আর জীববৈচিত্র্য
যেন হারিয়ে না যায় গগনচুম্বী উন্নতির উচ্চাশায়।


উড়োজাহাজ তোমার বুক চিরে উড়ে যাচ্ছে
ঢাকা, কলকাতা, দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাই,
প‍্যারিস,টোকিও, নিউইয়র্ক, লন্ডন।


কোনো কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বিচ্ছিন্ন
করা যায়নি তোমার সীমাহীন প্রাঙ্গণ।


সংকীর্ণতা নয়, উদারতা চাই।
বিচ্ছিন্নতা নয়, মিলন চাই।


তবে যুদ্ধের সময় বোমারু বিমানের আনাগোনায়
ভয়ের শিহরণ বয়ে যায় শিরদাঁড়ায়।


যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই।


রাতের আঁধারে তুমি সেজে উঠো
ঝিকিমিকি তারায়, অপূর্ব ঐশ্বর্যে।
ধরণী কখনও ভেসে যায়,
বাঁধভাঙ্গা চাঁদের মনোরম হাসিতে।


তোমার এই অপরূপ সৌন্দর্য দর্শনে
প্রাণমন হয় রোমান্টিক ও অতিশয় সুখতৃপ্ত।


মরিতে চাই না মোরা এই সুন্দর ভুবনে,
ব়াঁচিতে চাই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে,
সর্বজনীন ও বিশ্বজনীন মানসে।