শুভ্রবসনা সুন্দরী সরস্বতী এসেছেন ব্যাঙ্কবাড়িতে।
সাদর আপ্যায়নে বসানো হয়েছে জলচৌকিতে। বসন্ত পঞ্চমী। নীল আকাশ। নরম রোদ্দুর।
শীতল হাওয়ার স্নিগ্ধ পরশ।


ব্যাঙ্ককর্মীরা আজ ব্যস্ত। বাগদেবীর আরাধনা।
অফিস ছুটি। এদিক ওদিক ছোটাছুটি। পুজোর আয়োজন।ফুলের সৌরভ। ধূপের ধুসর ধোঁয়া।


মা সবকিছু দেখছেন। মায়ের মুখে খুশির হাসি।
বীণার তারে ঝংকার তুলছেন। মাঝেমধ্যে হংসধ্বনি।


পুরোহিত এসেছেন। মাস্ক খুলে রেখে হাতদুটো স্যানিটাইজ করলেন। জলদগম্ভীর মন্ত্রোচ্চারণ।
বেদমাতা বিদ্যার দেবীর বন্দনা।


এক স্বর্গীয় পরিবেশ। বিদ্যাবুদ্ধিমেধা যাচ্ঞা।
পুষ্পে পুষ্পে পুষ্পাঞ্জলি। অবিদ্যা নাশের হোমাগ্নি।


মায়ের পায়ের কাছে ডেস্কটপ ল্যাপটপ আর মুঠোফোনের লুটোপুটি। বইপুস্তকগ্ৰন্থ সবাই মিলে চলে গেছে ক্লাউডে বেড়াতে, মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলতে।


বর্ণপরিচয়ের অক্ষরগুলো ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে এদিক থেকে ওদিকে দেশ থেকে দেশান্তরে অন্তর্জালে। চাইলেই নেমে আসে টেবিল বা কোলে রাখা কম্পিউটারে বা মুঠোয় রাখা মুঠোফোনে।


শুভ্রবসনা সুন্দরী সরস্বতী ব্যাঙ্ককর্মীদের আরাধনায় আপ্লুত হয়ে বললেন,


"উৎকর্ষতা জাগে যেন সর্বজনীন ব্যাঙ্কিং পরিষেবায়, অনলাইন বা অফলাইন গ্ৰাহক সেবায়, মানব কল্যাণের উন্নয়ন ধারায়।"


বাইরে অন্তরে বেজে চলছে,
" সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে --------"