সকালবেলা থেকেই একটা চাপা উত্তেজনা মনে,
আজ বইমেলার শেষদিন,
বইমেলায় যাব কি যাব না।


আজ নগরীর সব রাস্তাই হয়তো মিলবে গিয়ে বইমেলা প্রাঙ্গণে।
তারপর জনতার ভীড়গুলি দাপিয়ে বেড়াবে বইমেলা চত্বর; পুস্তক বিপণির অন্দরে বাইরে।
হবে বই বিক্রী আর শেষবাজারে ডিসকাউন্টের প্রতিযোগিতা।


কবি সাহিত্যিকদের নগরী কলকাতা।
আজ সবাই আসবে; লেখক প্রকাশক পাঠক।
জমজমাটি আড্ডা। বইমেলা উৎসব।


সকালবেলায় এক দাদা ফোন করে সাবধান করেছেন, " বইমেলায় গেলে সর্বক্ষণ মাস্ক পরে থাকবি, করোনার নবতম সংস্করণ বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে খবর আছে।"


সূর্য যখন মধ্যগগন থেকে পশ্চিম দিকে হেলে পড়ল, আমরা দু'জনেই বেরিয়ে পড়লাম বইমেলার উদ্দেশ্যে। কলকাতা বইমেলা - ২০২২।


বইমেলায় ঢুকে ১৭১ নম্বর পুস্তক বিপণির পাশে চেয়ারে বসে পড়লাম, তখনও রোদ কড়াভাবে সবাইকে বেশ তাতাচ্ছে।


বসে বসে দেখলাম, কত নারীপুরুষ যুবকযুবতী কিশোরকিশোরী ও শিশুরা ঢুকে আসছে দলেদলে, যেন নিরবচ্ছিন্ন জনস্রোত!


পোশাকে কত বৈচিত্র্য, নানাবিধ বেশভূষা, কেশসজ্জা, অঙ্গরাগ, অপূর্ব শৃঙ্গার, হৃদকম্পন!


একপাশে বৃক্ষতলে মনপ্রাণ দিয়ে বীরভূমের মাটির গান গেয়ে যাচ্ছে এক বাউল।


যুবকযুবতীরা অনেকেই ফিশফ্রাই, ঠান্ডা পাণীয়
আর নিজস্বীতে নিমগ্ন।


এক একটি মানুষের জীবন থেকেই উঠে আসে
গল্প কবিতা উপন্যাস। লেখকেরা বইমেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
বই নয়, মানবজীবন পড়ছেন‌।


সবশেষে লস্যি স্বাদে "সেরা শামসুর রাহমান"
নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।