সবুজ গালিচা বিছানো মাঠে আজ কিছুক্ষণ,
শীতের সকাল। ঘাসে ঘাসে শিশিরবিন্দু।
রূপসী প্রান্তর, হাসিতে মুক্তো ঝরাচ্ছে।
ব্যাটে লেগে সবুজ বলটি চলে গেল সীমানার বাইরে।
সিক্ত হাতে সিক্ত বল নিয়ে একটি ইনসুইংগার।
ব্যাঙ্কার ব্যাটার কুপোকাৎ।
শঙ্করবাবু গতবছর ব্যাঙ্ক থেকে অবসর নিয়েছেন।
এসেছেন মাঠে খেলা দেখতে। ক্রিকেট খেলা।
সহকর্মীরা খেলছে। কেমন যেন একধরনের নষ্টালজিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে মনে। হঠাৎ চিৎকার।
মাথার উপর দিয়ে একটি বল এসে ফিল্ডারের মুঠোবন্দী।
আ......উ.......ট।
অন্তরে তাথৈ তাথৈ নৃত্য। ব্যাট হাতে সুজন বাবু
চার আর ছক্কা হাঁকালেন। এবছরই তিনি অবসর নিবেন।
ঊনষাট বছর বয়সী ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান। নিখুঁত খেললেন। চোখ ধাঁধানো কয়েকটি কভার ড্রাইভ আর স্কোয়ার কাট। ময়দান জুড়ে করতালি।
আইটি ডিপার্মেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার শুভ্র রায় এক ওভারে দু'টি উইকেট নিল। বলল আগের দিন সারা রাত ঘুমের মধ্যে প্র্যাকটিস্ করেছে।
চব্বিশ বছর বয়সী ব্যাঙ্ক অফিসার রমণ খান পাঁচটি ছয় আর পাঁচটি চার দিয়ে চৌষট্টি রানের একটি অনবদ্য ইনিংস সাজিয়েছিল। সে ম্যান অফ দ্যা সিরিজ নির্বাচিত হয়। জানা গেল অনূর্ধ্ব ষোল এর রাজ্য দলে সে খেলেছে।
একদিবসীয় ক্রিকেট। তবে সারা বছরের জন্যে
অক্সিজেন নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরল।
আ......উ........ট শব্দটা শঙ্করবাবুর কানে এখনও বেজে যাচ্ছে।