ঈশ্বর মানে বিশ্বভুবনময় অনন্ত প্রাণশক্তির
বিচিত্র প্রকাশের অবিরাম বিবর্তন।


ঈশ্বর মানে গাছের রঙিন পাতায় পাতায়
রোদের নাচন।


ঈশ্বর মানে বাহারী ফুলে ফুলে মৌমাছির
মধু আহরণ।


ঈশ্বর মানে মেঘ-বৃষ্টি-মেঘ এর অবিরত আবর্তন।


ঈশ্বর মানে গভীর রাতে আকাশ আঁধারে
তারাদের সলজ্জ দীপ্ত আলোককণা সহ জাগরণ।


ঈশ্বর মানে পাহাড় থেকে নেমে আসা
সুন্দরী ঝর্ণার সশব্দ সলিলে ধরণীতে
প্রপাতিত জল বিচ্ছুরণ।


ঈশ্বর মানে নীল সরোবরে সাদা বকের মেলা,
ঈশ্বর মানে বিকেলের নরম আলোতে
হাঁসের সজল সঞ্চরণ।


ঈশ্বর সর্বত্র বিরাজিত।
পশুপক্ষী, লতাগুল্ম, বৃক্ষরাজিতে,
ধনীদরিদ্র, উঁচুনীচু সর্বজনেতে।


ঈশ্বর মানে প্রাণ, ঈশ্বর মানে শক্তি,
শিলা বা মানবনির্মিত মূর্তি নয়।


ঈশ্বর শুধু কোনো ধর্মান্ধ বা মৌলবাদী বা
কোনো গোষ্ঠী বা কোনো দলের নয়,
ঈশ্বর সর্বজনের।


ঈশ্বর মানে বিমূর্ত বিস্ময়!
অসীম শক্তি!অখন্ড অক্ষয়!


ঈশ্বর মানে তোমার অন্তরস্থিত শুভ চেতনা,
যা তোমাকে প্রাণিত করে শুভ কাজে, জীবকল‍্যাণে।


ঈশ্বর আছেন আমার, তোমার চেতনায়,
হয়তো বা ঘুমিয়ে, অনাদরে বা অবহেলায়।


ঈশ্বরকে জাগিয়ে তোলো তোমা মাঝে
সাধনা, সৎসঙ্গ আর জীবসেবায়।