আজ আকাশে শুধু সাদা-কালো মেঘ,
সূর্য নেই।


সকালটা বেশ ঝরঝরে স্নিগ্ধ,
বৃষ্টিভেজা সকাল।


সুশীতল বাতাস মৃদুমন্দ বইছে
মনোরম স্বস্তিদায়ক স্পর্শে।


বাতায়নে দাঁড়িয়ে দেখি,
মৃদু ঝংকারে মেঘের বৃষ্টি বিসর্জন।


মনে হল আকাশ যেন কাঁদছে,
নয়নপ্লাবিত ঝরঝর জলধারা ঝরিতেছে।


কখনো বা রাশি রাশি পুঞ্জিভূত মেঘকণা
উলম্ব পতনে বৃষ্টি হয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে
মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদোয়ারা।


কখনো বা বেগবানবাতাস তাড়িত হয়ে
কম্পিত ঝরাবৃষ্টি তীর্যক রেখায় সিক্ত করছে
সবুজ বৃক্ষরাজি এবং লতাগুল্মপাতা।


কখনো বা ছন্দের তালে তালে,
সঙ্গীতের তানে তানে,
বিন্দু বিন্দু বৃষ্টিকণা ঝরে পড়ছে
গঙ্গা-যমুনা, মেঘনা-পদ্মা, বরাক-ব্রহ্মপুত্র বা
সিন্ধু নদীতে।


নদীধারা সব মিলিছে ভারত মহাসাগরে,
সংস্কৃতির সব ধারা মিলিছে ভারততীর্থে।


কয়েক পশলা বৃষ্টির পর আকাশ এখন
সাদামেঘে ঢাকা - বেশ পরিষ্কার।


মনে হল,
সাদা আকাশখানি হাসিমাখা খুশির জোয়ারে ভাসছে, একটি অদ্ভুত ভারী সুন্দর মিষ্টি আলো
ছড়িয়ে পড়েছে ভুবনে,


যেন মনে হয়,
দিবসবেলায় জোৎস্না ঝরিছে ধরামাঝে।


বেশ কিছুক্ষণ পর,
অপসৃয়মান মেঘের আড়াল থেকে
মধ‍্যাহ্ন গগনে সূর্যোদয়,
আশার আলো যেন উদ্ভাসিত!


পূর্ণমহিমায় ভাস্কর! ধরণী প্রখর রৌদ্রস্নাত।
ঝকঝকে, তকতকে বিশ্বচরাচর।


মনে হল,
বাজিছে শঙ্খধ্বনি, পীরের আজানে মুখরিত পরিবেশখানি, গীর্জায় নীরব প্রার্থনা সঙ্গীত,
গুরুদোয়ারার লঙ্গরখানায় হাজার হাজার
অভুক্ত মানুষ।


জয় ভারত! জয় ভারতবাসীর জয়!