রাত গভীর নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। ভারী বুটের শব্দ।
ভ্যাকিউম বোমা, ক্লাস্টার বোমা ঝরছে আকাশ
থেকে ঘনঘন। মিসাইল হানা চলছে।
সাইরেন বাজছে নিয়মিত।


প্যারাট্রুপাররা নামছে রাস্তায় রাস্তায়।


নবীন আছে বাঙ্কারে লুকিয়ে।
কর্ণাটকের নবীন শেখরাপ্পা।


বাইরে তুষারপাত চলছে।
উষ্ণতা মাইনাস দশ ডিগ্ৰী সেলসিয়াস।


কনকনে ঠান্ডায় হেঁটে চলছে দুর্গাপুরের রুমকি
ও ঝুমকি। মাথার উপর দিয়ে ক্ষেপনাস্ত্র উড়ে যাচ্ছে।
গোলাবর্ষণ হচ্ছে। দূরে দেখা যাচ্ছে একটি বহুতল জ্বলছে। রাতে গৃহীঘরে আশ্রয় পেয়েছে তারা।


রাস্তায় রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়ির সশব্দ পায়চারি, পাহারাদারি। সেনা মার্চ, টহলদারি।


অন্ধকারের বুক চিরে বেরিয়ে আসছে আলো, ভোরের আলো। সূর্য প্রকাশমান।


নবীন একটি রুটির সন্ধানে বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে আসে। সারারাত খাবার জোটেনি।
মৃত্যুদূত ওঁৎপেতে ছিল মুদি দোকানের পাশে
নিমেষে কেড়ে নিল নবীনকে পরপারে।


এদিকে যুদ্ধশেল্টারে এক নবজাতকের আগমন।
ধ্বংসের মাঝে নবপ্রাণের স্পন্দন।
সদ্যোজাত শিশুর নাম রাখা হলো 'স্বাধীনতা'।


সারাবিশ্ব সন্ত্রস্ত। আলোচনা চলছে। পারস্পরিক দোষারোপ চলছে। কিন্তু যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই।


বাবি ইয়ার হলোকাস্ট মেমোরিয়াল বোমার আঘাতে আজ আহত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কালে ইহুদি গণনিধনের বীভৎস স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই স্মৃতিমহল। যুদ্ধে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বলছে,
"চুপ থেকো না, যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলো।"


সারিসারি লাশ মর্গে, মৃত্যু মিছিল রাস্তায় শ্মশানে।
মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে এক সেনা রাষ্ট্রপ্রধানকে বলছে,
" যুযুৎসা কেন জাগে তোমার মনে?"