তৃষিত বুকে সৃষ্টির জল
নিয়ে এসো হে বৈশাখ
বৈচিত্র্যে ভরা জীবন সম্বৎসর
গ্ৰীষ্মবর্ষাশরৎহেমন্তশীত ও বসন্ত।


বিভেদের মায়াজাল ছিঁড়ে
অনর্থের অর্থ দূরে রেখে এগিয়ে চলা
                         মন যে তা চায়।


বাতাসে বারুদের গন্ধ নিয়ে আসে
মৃত্যুর বার্তা, কি ভয়ানক যুযুৎসা!
ধ্বংসবিনাশ নয়, সমস্ত যুদ্ধযজ্ঞ যেন বন্ধ হয়
                                   মন যে তা চায়।


উদ্বেগের বাঁধন ছিঁড়ে উৎসাহ উদ্দীপনার
উদ্বেলিত ভেলায় চড়ে ভেসে বেড়াই
বিপাশা নদীর পাথুরে খরস্রোতে,
                            মন যে তা চায়।


কোনো এক অলস দুপুরে ক্ষীণাঙ্গী পাহাড়ি স্রোতস্বিনীর পাশে শুভমিতার সাথে বসে
ঝর্ণার মুখ থেকে আদিমতার গল্প শুনি
                               মন যে তা চায়।


রাজার মন্ত্রণাদাতাদের বৈশ্যপ্রিয় হৃদয়ে
ব্রাত্যজনের সঙ্গীত যেন মূর্ছনা জাগায়
                            মন যে তা চায়।


মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ভালবাসা যেন
মলিন না হয়ে যায়
                       মন যে তা চায়।


বাংলা নববর্ষ ১৪২৯-এ আর কিছু নয়
               মন যে এসব কিছুই চায়।