ভারতবর্ষ। আমার দেশ।
ভারতবর্ষ কথাটা উচ্চারণ করলেই
সারা গায়ে শিহরণ জাগে।


ভিন্ন জাতি ধর্ম বর্ণ, ভিন্ন ভাষার দেশ
আমার ভারতবর্ষ।


বহুত্ত্ববাদ আমাদের সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য।


১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে ভারতবর্ষের
স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল।
ব্রিটিশ এসেছিল।


তারপর সাহিত্য বিজ্ঞান সংস্কৃতিতে
বাংলার বুকে নবজাগরণ হয়।
শিক্ষা দীক্ষা নবচেতনায় অনেক এগিয়ে
গিয়েছিল বাংলা, আমার ভারতবর্ষ।


১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহ।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা। ১৫ অগষ্ট।
আমাদের বুকের কাছে থাকা একটি গর্বের দিন।


আজকের ভারতবর্ষ। একই আত্মা।
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। সুরাট থেকে শিলচর।
একশো চল্লিশ কোটি ভারতবাসী।


প্রজাতন্ত্র গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র, তিন সোপানের উপর আমার ভারতবর্ষ।
২৬ জানুয়ারি, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস।


বিশ্বের মানচিত্রে ভারতবর্ষ এখন একটি
উন্নয়নশীল শক্তিশালী দেশ। তিনলক্ষ কোটি
মার্কিন ডলারের অর্থনীতি।


স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তিতে আমরা দেশব্যাপী উৎসবে মেতেছি -আজাদি কা অমৃত মহোৎসব।


বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশে বৈষম্যের দুর্বার গতি, রুখিবে কে না জানি।


পুরাণে কথিত আছে,
কৈলাস পর্বতের উপরে ছিল ধনদেবতা কুবেরের যক্ষপুরী, ধনসম্পদের বিশাল সঞ্চয়পুরী়।


আজকের ভারতবর্ষে বাড়ছে শুধু কর্পোরেট কুবেরদের বিশাল বিশাল যক্ষপুরী, ভরা আছে
মণিমাণিক্য আর ধনরাশি।


অন্যদিকে কি বিচিত্র চিত্র!
শ্রমিক কৃষক খেটেখাওয়া অসংখ্য ভারতবাসী জীবন-জীবিকা যুদ্ধে জেরবার।
স্বপ্ন সব ধূলিসাৎ।


একটি ছোট্ট প্রশ্ন,
বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য হয়
বৈষম্যের মধ্যে ঐক্য হয় কি?