সুজলা, সুফলা, শস্য শ্যামলা, বায়ু সুশীতলা;
নদী, হাওর, বিলে ভরা বাংলাদেশ প্রিয়া।
জীববৈচিত্র্যে ভরপুর,
আলো বাতাসে মধুর।
উর্বরা ধরা, ধনধান্যে পুষ্পে ভরা বসুন্ধরা,
নির্মল খুশিতে সবাই যেন ভীষণ মাতোয়ারা।
আউল-বাউল আর পীরসুফিদের আজান-ভজন,
প্রাণে আনে এক গভীর প্রশান্তি নির্জন।
রবীন্দ্রসঙ্গীত আর নজরুলগীতি
সংস্কৃতি আর উৎসবে
যেন প্রধান দুই গীতি।
মনে পড়ে ছোটবেলার প্রাণজুড়ানো সুখস্মৃতি,
ভেসে উঠে মনে ঠাকুমার স্নেহময়ী মুখখানি,
দাদুদিদিমা, মামামাসীর মমতাময়ী রূপখানি।
উনিশশো একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ,
সহসা দেখি এসেছেন উনারা,
খুশিতে মোরা বাকরুদ্ধ।
উনিশশো বায়ান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারি,
মাতৃভাষা বাংলার জন্য কুরবানী।
রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার.....
তোমাদের নিঃস্বার্থ জীবনদান,
স্মরণ করি বারবার।
তোমাদের রক্তঝরা বলিদানে,
জাতিসংঘ ঘোষণা করে,
বাংলাভাষার নামে পালিত হবে,
"আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" বিশ্বভুবনে।
হে বাংলাভাষা,
তোমার জন্যে আজ বিশ্বের দেশে দেশে,
জাতিতে জাতিতে মাতৃভাষা বন্দিত হয়,
প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি দিনে।
বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্ব,
মুক্তিযোদ্ধাদের সশস্ত্র সংগ্ৰাম,
আর বন্ধু ভারতের সেনাভিযান জন্ম দিল
বাঙালীদের একমাত্র স্বাধীন দেশ,
রাষ্ট্রভাষা বাংলা, সে যে বাংলাদেশ।
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্পর্ক,
অটুট বন্ধনে থাকে যেন উজ্বল সূর্য।
বাংলাভাষার মাধুর্য, মাধুরীতে
মুগ্ধতা যেন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বভাষাভাষীতে।