আজ কালো মেঘে ঢাকা দিবাকর
নেই কোনো রোদ্দুর
নেই কোনো বরিষণ
বহিতেছে শুধু মৃদুমন্দ পবন।


আজ মনের বীণা বেজে উঠে
হর্ষ বিষাদের মিশ্রিত রাগের ঝংকারে।


সখি, আছো তুমি কেমনি
অন্তরে জাগে আগমনী ধ্বনি।


জানলায় বসে দেখি
অম্বরে পূঞ্জীভূত কৃষ্ণঘন অম্বুরাশি।


মনে হয়,
নেমে আসবে শীতল সলিল ধারা
সিক্ত হবে তাপিত বসুন্ধরা।


বৃষ্টি, পুজোতে দিলাম তোমায় ছুটি
আকাশ আর সাগরে তুমি শুধু করো লুটোপুটি।


জাগরণে কাটে বিনিদ্র দুপুরবেলা
মাঝেমধ্যে আসে স্বপ্ন আবেশের ছায়া
ভাবি কেমনি কাটিবে এবার পুজোর দিবানিশা।


সবাই বলছে, সাজবে এবার
পোশাক গয়নায় রকমারী
হবেনা কিছুই বেশি দামী,  
হোক নন্দন বা নন্দিনী।


পুজোয় চাই নতুন কিছু
সবাই মেতেছে কেনাকাটায় আশু।


ধুতিতে এবার নকশি কাঁথার কাজ
শাড়িতে এমব্রয়ডারি আর জারদৌসী সাজ
সবার মুখের আভরণ হবে ম‍্যাচিং মাস্ক।


লং ড্রেসের উপর জর্জেটের জ‍্যাকেট
ওয়েস্টার্ন প‍্যাটার্নে প্রিন্ট এথনিক
মন মজেছে কটন, লিলেন, জর্জেট ফ‍্যাব্রিক।


গয়নার গগনে বাহারি সাজ
দুল, লকেট, আংটি কিংবা হার
মনমাতানো ফিউশনের চমৎকারী
সুতো,কড়ি, পুঁতি আর জার্মান সিলভারী।


দিনদরিদ্র সবার মুখে ফুটে যেন হাসি
সেই আয়োজন করবে যে দয়াল বঙ্গবাসী।


ভূরিভোজনে হোক না একটু বাড়াবাড়ি
তবে করোনা সতর্কতায় থাকে যেন কড়াকড়ি।