সাগরের নোনাজলে
নদী অভিমুখে
প্রাণপণ সঞ্চরণ।
প্রজনন ব্যথার তীব্রতা
গতি পায় যেন দ্রুত চলন।
মিলন মোহনায় হর্ষ উল্লাসে
জাগে হাজার লক্ষ নবপ্রাণের আলোড়ন।
পদ্মার মিষ্টি জলে শিশুবেলা
তারপর সাগরে যৌবনের খেলা।
উন্মুক্ত উন্মাদনা উচ্ছ্বাসে
জীবনের আনন্দবেলা।
আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা,
মেঘের গুরুগম্ভীর গর্জন,
মাঝিদের মনমাঝে আনন্দ শিহরণ!
গভীর রাতে তরী ভাসিয়ে মোহনায় গমন
ভাটিয়ালি সুরেতে আজ গাইছে মন।
নদী আর সাগরে উথালপাথাল সলিল
হাওয়ার লহরী নাচন; নদীর বুকে জালবিছিয়ে
গান গাইছে মাঝিগণ।
ঝাঁকে ঝাঁকে সরসী রুপোলী রূপসীরা
জালে এসে উল্লম্ফনে ক্রীড়ারত
নদীবক্ষে এ যে এক অভিনব দৃশ্য
গঙ্গা,পদ্মা, মেঘনা, কর্ণফুলীর মোহনায়।
তারপর অনেক পথ পেরিয়ে
সীমান্ত ডিঙিয়ে, এসেছে রূপসীরা
হীরের পোতাশ্রোয়ে।
খবর পেয়ে রসিকজন ভীড় করেন হাটেবাজারে
রূপোলী রূপসীদের নিয়ে আসেন অগ্নিমূল্যে।
রন্ধনে হয় রূপসীদের যথাযথ পরিচর্যা
তৈরী হয় ভিন্নস্বাদের রসনা রঞ্জনা
রূপে রসে গন্ধে অতুলনীয়া
মোদের মৎসরাণী ইলিশ ঈর্শণীয়া।
ভাঁপাইলিশ, ইলিশপাতুরি, ইলিশভাজা
বাঙালি পাতে পড়লে আনন্দ উল্লাসে আত্মহারা
রসনা তৃপ্তিতে সে যে দারুণ খাসা, হৃদয়হরা।