ভোরের সকালে আনম্র সমীরণ ঢেউ খেলে
নরম কাঁচাসোনা রোদ্দুর নেমে আসে
আশ্লেষে আদরে উষ্ণতা ছড়িয়ে
দিঘীর শান্ত শীতল জলে।


কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর। বিশাল সরোবর।
আমার ভোরের আশ্রয়। সকালবেলার আশ্রম।


প্রতিভোরে শানবাঁধানো দীঘিতটে হাঁটি সবুজ নিসর্গের ছায়ায়।বহুদূর বিস্তারে স্বচ্ছ সলিল আকর
যতদূর চোখের আলো যায়। বিম্বিত দিনমণি আমার সাথে সাথে ঘুরে বেড়ায়।


দিঘীর জলে হাঁসেরা থমকে দাঁড়ায় হঠাৎ করে পাশ দিয়ে যাওয়া রেলগাড়ির আওয়াজে। ডাঙ্গায় শালিকেরা হলুদ ঠোঁটে দানা খুঁটে খুঁটে সময় কাটায় উদাসীন ক্ষিপ্রতায়।


হাঁটা শেষে কিছুক্ষণ চোখ বুজে বসে মনের মধ্যে খুঁজি যতসব সঞ্চিত মলিনতা; তারপর এক এক করে ছুঁড়ে ফেলি দীঘির জলে ক্রোধ, ক্রুরতা, কলহ, ক্লেশ, ঈর্ষা, লোভ, বিবাদের বিষবীজগুলি।


ভেসে যায় জঞ্জাল দূরে বহুদূরে ধীরে ধীরে যেন মিশে যায় সলিলে, মগ্নতার রেশ কেটে হৃদয়মনে
স্নিগ্ধতার পরশে একরাশ প্রশান্তি জাগে।


প্রতিভোরে চেষ্টা করি।
সূর্য প্রণাম করে মলিনতা নাশের মন্ত্র পড়ি।