সুন্দরী তোমার রূপে যখন
পড়ল আমার দৃষ্টি,
মনে হল বিধাতা যেন নিজ হাতে
করেছে তোমায় সৃষ্টি ।
পৃথিবীর সব ভালবাসা দিয়ে
তোমার হৃদয় দিয়েছে ভরে,
তোমার মধুর কন্ঠে যেন
প্রেম রাগিনীর সুর বাজে ।
সুন্দরী তোমার নুপুরের ঝংকারে
পরীরা যায় নেচে,
তোমার মনের আনন্দ দেখে
বনের পাখিরা উঠে গেয়ে ।
তোমার মুখের হাসিতে যেন
বিদুৎ চমকায় আকাশে,
মেঘের মত ভার হলে বদন
বনের ফুলেরা যায় ঝড়ে ।
লজ্জাপতি লতার মতন
গড়া তোমার দেহ মন প্রান,
প্রেমের ছোয়া লাগলে মনে
লজ্জায় লাল হয় তোমার গাল ।
রূপসী তোমার ঠোট দুটি যেন
সদ্য ফুটা গোলাপ কলি,
চোখ দুটি তোমার চির শান্তির নীড়
দেখে বনের হরিনীরা দেয় অঞ্জলী ।
সোনার কংকন পড়া বাহু যেন
ভালবাসার আদর সোহাগে ভরা,
সবচেয়ে বেশী শান্তি পাব
তোমার হাত ধরে গেলে মারা ।
সুন্দরী তোমার কপালের টিপ যেন
ঐ আকাশের চাঁদ,
তোমার রূপে আলোকিত হয়
অমবস্যার সারা রাত ।
মরুভূমির বুকে তুমি সুন্দরী
এক পসলা বৃষ্টি,
তৃর্ষ্ণাত হৃদয়ে ভরে উঠে
পরলে তোমার দৃষ্টি ।
সুন্দরী যেন পৃথিবীর সব
ভালবাসার প্রতি মুর্তি,
তোমায় দেখে মনে হয় রূপসী
সার্থক বিধাতার অপরূপ সৃষ্টি ।