তুমি এলে কাল বৈশাখী ঝড়ে
আম কুড়ানো শিশুর দলে
জৈষ্ঠ্যের খর তাপে তৃর্ষ্ণাত পথিকের সাথে
কত মাইল কত ক্রোশ হেঁটে তুমি এলে ।
তুমি এলে বর্ষার কালো মেঘে
রিমিঝিমি বৃষ্টির সুরের ঝংকারে
জীবনান্দের কবিতার কোন এক পংতিতে
রবিঠাকুরের ছোট গল্গের নায়িকার সাজে ।
তুমি এলে শরতের শিশির ঝড়া রাতে
শিউলী ফুলের মালা হাতে
ঝিলের সচ্ছ জলে অসংখ্য শাপলার বনে
সাতাঁর কেটে বেড়ানো পানকৌড়ির মাঝে ।
তুমি এলে নির্মল নীলাভ আবির ছড়ানো বিকেলে
শুভ্র সাদা উড়ে যাওয়া বলাকার ঝাকে
শঙ্খ ঘন্টা বাজিয়ে বিহঙ্গের ন্যায় উড়ে
এলে আনন্দে মুখরিত শারদীয় উৎসবে ।
তুমি এলে হেমন্তের সোনালী ফসলের ক্ষেতে
সকালের মিষ্টি রোদে দোয়েলের শিষে
ফসলের সম্ভারে কৃষকের হাসিতে
বাংলার ঘরে ঘরে নবান্নের উৎসবে ।
তুমি এলে শীতে কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে
র্নিঘুম চোখে জোনাকির ক্ষীন আলোতে
সন্ধ্যা রাতে শীতে জড়োসড়ো হয়ে
ঠাকুরমার কল্পলোকের গল্পের আসরে ।
তুমি এলে বসন্তের কুহুকুহু কোকিলের সুরে
পলাশ শিমুল কৃষ্ণচুড়ার ডালে রংগের আল্পনাতে
নব যৌবনা হয়ে তুমি এলে
শত নবীনের হৃদয়ের উদ্দাম বাড়াতে ।