(ইব্রাহীম রাসেল), (প্রবীর কুমার পাল), (সুমন্তাড়ুয়া), (রোদের ছায়া), (নীরব দেবশর্মা), (অরুন কারফা), (মিতা চ্যাটার্জী), (সহিদুল হক), (ইনসিগনিয়া (অভি)) , (Rima Chatterjee), (হাসান ইমতি), (সাহাব উদ্দিন (রিহাব), (সাবলীল মনির), (সরকার মুনীর), (আসহাব), (আলী ইউসুফ খান), (বৈশাখী ঝড়), (কে এইচ মাহাবুব) , (মিমি), (rezwan azad chowdhury), (ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন), (তানভীর আহমেদ), (রাজু আহমেদ), (হুদা ভাই), (বর্ণীল মনীষা), (তানিয়া সরকার), (কামাল), (চ্ন্দ্র শেখর), (পলক রহমান), (সাইদুর রহমান), (শিল্পী রহমান), (Suman), (সুখেন্দু), (CHANDRA SHEKHAR), ভানম আলয়), (মোঃ মজিবুর রহমান), (বিভূতী দাস), (পরিতোষ ভৌমিক), (চ্ন্দ্র শেখর চৌধুরী), (সুবীর কাস্মীর পেরেরা), (পায়েল ভট্টাচার্য), (আরিফ নীল), (দাদা মুহাইমিন চৌধূরী), (ইসমাইল জসীম), (খান), (দেবাশিস সেন), (ঝন্টু মণ্ডল), (পবিত্র আচার্য্য), (আশিকুর রহমান), (এস এম সাইফুল), (সুমিতা নাগ), (জোহরা উম্মে হাসান), (Shyamalendra Chakrabarty), (অজিতেশ নাগ) এর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লিখিত কবিতা নিধিরাম


আমাদেরই মাঝে থাকে বহুবিধ অস্ত্র
ব্যবহার কি আছে জানা সেইসব শাস্ত্র?
কবিতা লিখি আমি নেই আর কোনো কাম
একদিন কবি হবো একথাটি জানতাম
কবিতা লেখা মানে সময়ের অপমান
ঘিলুতে ঢু মারা বিক্ষত কিছু কাম
শুরুতে বলে যাই আজকে কি বিষয়
যৌথভাবে যদি কবিতা লেখা হয়
তা হবে অনন্য সাধারণ কবিতা
দেখি তবে কি হবে কবিতার ছবিটা
কচুবন তোলপাড় করেছিল নিধিরাম,
হাতে মোটা লাঠি ছিল, কিন্তু বিধি বাম!
বিধি বাম হলেও কি নিধিরাম থামবে
কচুবন কচুকাটা করেই সে ছাড়বে
কচুকাটা করে নিধি ঢুকে কচু বনে,
পড়ে দীর্ঘশ্বাস বিধির, নিধির ভীরু মনে
নিধিরাম লাঠি নিয়ে আসলে কি খুজছে?
তোলপাড় কচুবন তবু কি তা পাচ্ছে?
পেলনা সাপের দেখা, ধরা খেল সাপুরে
নিধিরাম জপে তায় আয় আয় বাপুরে
বিধির পরোয়া নেই, কচুবন ছেড়ে আজ
লাঠিটা ঘুরিয়ে খোঁজে কোথা সেই নাগরাজ
মনি খুজতে  গেলো বুঝি কচুবনে নিধিরাম,
নাগরাজ দেখে তার কপালে এলো ঘাম
ওৎ পেতে ছিল বনে ভয়ানক জাত সাপ
লাঠি ফেলে নিধিরাম কাতরায় 'বাপ বাপ'
নিধিরাম ছিল যে ঘন শ্যাম ভক্ত,
তবুও তার হাত নয় অতো পোক্ত
কচুবনে ঘাপটি মেরে বসে আছে অজগর
নিধিরামের লাঠিটা নয় তত শক্তিধর
কচুগাছে বাড়ি খেয়ে ভেঙ্গে গেলো লাঠিখান
দিশেহারা হয়ে তিনি খালি শুধু তড়পান
নিধিরামের লাঠি খানা বিধি করে টুকরো
তাই দেখে হেঁসে হেঁসে বাম হলেন কুকরো
ভয়ে কাঁপে ঠকঠক নিধিরাম বাবু যে
প্রাণ পাখি খাঁচা ছেড়ে এই বুঝি যাবে যে
বিষধর কোবরা সাপ তুললো যে ফণা
ঐ তো লাঠি, কই নিধিরাম সোনা?
যখনই তুললো লাঠি, গেল সেটা ফসকে
নিধিরাম ভয়ে বলে, বাঁচা বাবা আমাকে
সর্প এসে মারলো ছোবল নিধিরামের পায়
বিষের যন্ত্রণাতে নিধির জীবন বাঁচা দায়


নিধিরাম ঘোরে ছিল
কি দেখতে কি দেখছিল
সাপের মতো দেখতে ছিল
কচুগাছে আঘাত পেল
কেঁচো খুঁজতে সাপ বেরলো
নিধিরাম গোঁফ গুটলো


নিধিরাম লাঠিখানা রেখে কচু ফাঁকে
সাড়া দিতে গেল নিধি প্রকৃতির ডাকে
ছিঃ ছিঃ রাম রাম কচুবনে একি কাম ?
যত সব জুয়োচুরি ডান বাম সব সমান
বসে বসে ভাবে বুঝি বৃথা গেল তার ঘাম
তক্ষুনি পেয়ে গেল একখানা নীল খাম


হাতে যার লাঠি ছিল,
নাম তার নিধিরাম
কচুবন তোলপাড়
করেছে সে রাম রাম
রাম রাম বিধি বাম,
লক্ষ্মণ কাছেতে
সীতা গেল পরবাসে
রাবণের পাছেতে
অকারণে বনভূমি
ক্ষতি করা অন্যায়
জানো না কি নিধিভাই
এর কোন মাফ নাই
কচুবনে কচু নেই
আছে শুধু গাছ তাই
কচুশাক খেতে হবে
লাঠি দিয়ে কাজ নাই
লাঠি নিয়ে কাজ কি ?
ক্চু শাক খারাপ কি ?
লাঠি নিয়ে কাজ নাই
চ্ল এসো শাক-ই খাই
কচু ক্ষেতে হাটু জল,
করে চোখ ছল ছল,
নিশিরাতে ঝিঁ ঝিঁ পোকা,
পাকাল গন্ডগোল
সাপ হোক কিংবা লতা
একটা কিছু আছে হেতা
যা পাবি তা কুড়িয়ে নে
বাঘ না মেরে জুড়িয়ে নে
নিধিরাম ভেবেছিল
খুঁজে পাবে কালনাগ  
দেখে এযে কাল নয়,
কবি অজিতেশ নাগ!


কবিকে দেখে তার প্রাণ করে তোলপাড়
একটা কবিতা যেন লিখে রাখা দরকার  
তোলপাড় থেমে যায় শুয়োরের তাড়া খেলে
প্রাণ হাতে ছুটে ছুটে হাঁফ ছেড়ে নামে খালে
এখানে তো ছিল সে, কোথায় গেল পাঁজি  
নিধি রাম ভাবে, তারে কোন বনে খুঁজি
কচুবনে হেগে গেল নিধিরামের কুকুরে
সাপ-শালুক সবি এলো কবিতার পুকুরে
চেয়ে দেখে সাধু এক তার আগে আগে
পোটলাটা কাঁধে নিয়ে দৌড় দিয়ে ভাগে
চোরগুলো পালাল সাফ করে আম-জাম
চোরকে ধরতেই এসেছিল নিধিরাম
কচু খায় শুয়োরে, লাট খায় নিধিরাম
নিধিরাম দিশেহারা তার ছুটে কালঘাম
নিধিরাম অবশেষে মাথায় দিয়েছে হাত
চুলোয় যাক কচুবন, এবার পদ্যি মাত


আমি লিখতে পারি গদ্য আসে না পদ্য
তাই  এখানেই পদ্য শেষ থাক আমার গদ্য
কেটে যাক ক্লান্তি ফিরিয়ে দাও আমার সজীবতা
হৃদয়ে প্রেম দাও ঝরে যাক জীর্ণ শুকনো পাতা
তোমার প্রেম প্যালপেলে ইসবগুলের মত
হালকা করে দিয়ে যায় আমার ভার যত
বাহ্য বল সব নয়,লগনও হওয়া চাই
বিধি তবে মত দেয়, না হলে তার মত নাই
নিধিরাম ভাবে যা হয়েছেরে আজ ভাই
এইবার নিশ্চিন্তে আমি বাড়ি ফিরে যাই


হঠাৎ আকাশ মেঘলা হল শুনল শিশুর কান্না
আজকে এসব হচ্ছে কী সব না এখানে আর না
মেঘের আঁধার ঢেকে দিল কচুবনের রত্ন
সদ্যজাত শিশু পেয়ে নিধি করে যত্ন
কচু বনে দিল হানা মানুষ খেকো বাঘটা,
নিধি ভাবে গেল বুঝি বেঘোরে আজ প্রাণটা
হায় হায় এতো দেখি কচুবনে বিশাল সাপ
তোলপাড় তুলে রেখে আগে পালায় ওরে বাপ
রাইফেল বিপরীতে যুদ্ধ কি লাঠির কাম
বাংলার মাটিতে নিধি এক বীরের নাম  
সবুজ-কচু-ফাং-লাশে পরিবর্তনের নুড়ো,
কম্যিউনিজমে আস্থা রাখে এখনও পলিটব্যুরো


না না নিধিরাম করবে না হত্যা
কষ্টের ইতি টানে আত্মহত্যা
মুখপোড়া!নিধিরাম গেল কচুবনে
মরতে গলায় দিয়ে দড়ি কচু গাছটার সনে
জীবনের মানে নিধি ভাবে নাকো শক্ত
দেশ জুড়ে ছেয়ে গেছে শকুনের ভক্ত
শকুনে শকুনে আজ ছেয়ে গেছে দেশ
শকুনে শকুনে ধ্বংস হবে র্সবশেষ
দু'লাইনে আছে কত রসাল যে তত্ত্ব
শকুনেরা গরু খেতে হয়ে আছে মত্ব
আসলে আমরা বুঝি সকলেই নিধিরাম
তাইতো আমাদের প্রতিকাজে বিধি বাম