আত্মতৃপ্ত বলেই হয়ত পরাজিত প্রেমের
ইতিহাস ঘাঁটতে ভুলে যাই  ,আজকাল ...।
এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে  ... প্রতীক্ষার প্রহর গুনব না বলে
বইয়ের পাতায় চোখ... মনটা যদিও দিতে পারি নি ...।
কোনদিন ভাবি নি,এভাবে আমাদের আবার দেখা হবে ...
দেখা হল আজ গৈরিক  গোধূলির বিষণ্ণ আলোয় ...।
তুমি নিশ্চয়ই ভেবেছিলে... ঘৃণার গরল ঢেলে এড়িয়ে যাব তোমায় ...।
না! না!  সে ভয় পেও না ...কোন বেদনা নিয়েও  কেঁপে উঠ না  তুমি ...।


আমি জানি, এই মুহূর্তে  পুরনো অনেক কথা মনে ভাসছে  তোমার...                                                “ক্যারিয়ারের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দায়, সেদিন ভালবাসার
দায়ের চেয়ে বেশী ভাবিয়ে ছিল কেন... তাই তো? “
অসীমের অপার আনন্দের হাতছানিকে অস্বীকার করেছিলে ...
সীমাবদ্ধ নিশ্চিত স্বপনের প্রতিধ্বনির কাছে  হেরে গিয়ে ...।
আসলে,ভালবাসাকে যদি কন্টিনজেন্ট এ্যাসেটও ভাবতে পারতে সেদিন.
‘প্রতীক্ষা’ শব্দটিকে অভিধানেই মুখ লুকিয়ে থাকতে হত না ...
অপেক্ষার  যন্ত্রণার মাঝে,  ভালবাসার প্রতিবিম্বকেও অন্তত বাঁচিয়ে রাখতে ...।


কত সহজেই তুমি আমায় ছেড়ে চলে যেতে  পেরেছিলে সেদিন ...
ঝড় ...বৃষ্টি আর ঘন অন্ধকার যেন  তখন  ...হৃদয় আমার  পাড় ভাঙ্গা নদী ...;,
ভেঙ্গে দিয়েছিলে  সেদিন ...আমার সকল  অহঙ্কার যত ...।
কিন্তু, পাড় ভাঙ্গা নদীও যে  আপন স্রোতের পথে
পাড় খুঁজে পায়  আবারও ...নির্মাণ  করে  সীমাহীন তট ...।
জান, আজ আর আমার কোন যন্ত্রণা নেই ...নেই কোন আক্ষেপ...
শান্ত শিশিরের পরশ  পেয়ে দেখি পৃথিবী জেগে আছে আকাশেরই নিচে ...।
আমি জানি,তুমি জেনে খুশী হবে...” আমি ভাল আছি”।।