তুমি চলে গেছো জানি,আমাকে দিয়ে ফাঁকি
আমি আমার মতো, একা একা বসে থাকি।
বসে বসে মেঘ দেখি, আপন মনে একি,
চোখ থেকে জল গড়ায়, খেয়াল করিনি সেকি!


মুছিয়া লয়েছি আমি, যত দুঃখের পানি,
আবেগের যত স্মৃতি, সে মধুর হাসিখানি।
সেই ছোট ছোট কথা, একটু মনের ব্যাথা,
যত রাগ অভিমান, হয়েছে সুর আর গান।


তুমি কি পেয়েছো ব্যাথা, আমার মতন করে,
তুমি কি ভেঙেছো হৃদয়, অপমান সয়ে সয়ে।
হটাৎ কি যে হলো, কেন সব থেমে গেল!
অন্ধকারে আলো, কেন যে হারিয়ে গেল।


তুমি চলে গেলে দূরে, করা যেন সব এলো
তোমায় আড়াল করে, কোথায় যে নিয়ে গেলো।
রয়ে গেলো শুধু একা, মনটা বোকা বোকা
শুন্য চেয়ারখানি, একলা ঘরে আমি।


সঙ্গী ছিলে তুমি, সেদিনের সেই আমি
বদলে গেছে সময়, বদলাতে পারিনি।
অনেক চেষ্টা করি, নিজেকে আবার গড়ি
সবকিছু ভুলে গিয়ে, শেষ থেকে শুরু করি।


শরীরটাকে নিয়ে টেনেটেনে হিচঁড়িয়ে
মরে গিয়ে বেঁচে থেকে, হাসি দিয়ে প্রাণ ভরি।
আমার গিটারখানি, ধুলো পড়ে গেছে জানি
কত সুর কত গান, ছিড়ে গেছে স্ট্রিং খানি।


সেই সুরে তুমি কত, স্বপ্ন দেখিয়েছিলে,
জাগিয়ে আশা যত, কোথায় হারিয়ে গেলে।
তুমি কি আসবে ফিরে, আমার এ মন্দিরে,
নতুন রূপে আবার, জাগবে নতুন করে।


ভাবতে ভালো লাগে, কল্পনা সব জাগে,
সেই নরম হাতের ছোঁয়া, মিষ্টি অনুরাগে।
আবার বসবে পাশে, বলবে কত কথা,
চোখ নিচু ঠোঁট কেঁপে, লজ্জাবতী লতা।


হাসবে তুমি আবার, সহজ সরল করে,
মনটা দেবে আমার, ভালোবাসায় ভোরে।
এই অন্ধকার ঘরে, সারারাত শুয়ে শুয়ে
এঁকেছি ছবি কত, স্বপনের মতো করে।    


ঘুম যে আসে না কেন, আমার চোখেতে যেন!
সারারাত তারে খুঁজি, কখন যে চোখ বুঝি।
এ ঘুম কি ভাঙিবে আমার! সকাল হইবে আবার
এ অন্ধকারের দেশে, সে ফিরবে কি ভালোবেসে!