আমার বাঁদিক বন্ধ, ডান দিকে গাঢ় অন্ধকার।
আমার বড় ভয় করে, এখানে কেউ শোনেনা আমার চীৎকার।
ঘুমের ওষুধে ঘুম আসে না,সমস্ত রাত বড় নির্জন, দুঃসহ,একা।
আমার বড় ভয় করে সোনা,
এখন আর কেউ আসে না, কেউ শোনে না আমার হাহাকার।


আমার বাড়ির সামনে ছাতিম গাছে যৌনগন্দ্ধী ফুল;
সকালে রাজপথের দু ধারে ছড়ান,
শেফালী সাদা ,হলুদ;
পায়ের চাপে তাজা মৃত ফুলগুলি ধর্ষিত হয়।
আমার বড় ভয় করে । গভীর থেকে।
আর্তনাদ। কেউ শোনে না।
তুমি আমায় শেষ বার একটু উষ্ণতা দাও সোনা ।


নৈশব্দের মধ্যে আসে রক্তবীজের দল।
একটার গলা টিপে ধরি।
সে হা হা করে হাসে।
বলে চারিপাশে তাকিয়ে দ্যাখ ।
আমায় একা মেরে কী করবি বল ?


আমার বড় শীত করে।
সারা গায়ে চাদর চাপাই ।
চাদরের রন্ধ্র দিয়ে ঠান্ডা বাতাস...।
আমায় একটু ওম দাও-আকাশ।


বাড়ির গেট খোলা পেয়ে
নেড়ী কুকুর ভেতরে ঢুকে আসে।
গাছ থেকে টেনে নামায় জীবন্ত শামুক।
তার শক্ত খোল ভেঙ্গে
ভেতরের মাংস কুরে কুরে খায়।
আওয়াজে আমি বাইরে আসি।
কুকুরটা আমায় ভয় পায় না।
মৃদু আদুরে শব্দ করে, লেজ নাড়ায়।


আমার আবার গা শির শির করে।
কুকুরেরা কি সব জানতে পারে ?
শুনেছি আগে ভাগে ওরা টের পায়।


হ্যালো হ্যালো মাইক টেস্টিং, ওয়ান টু থ্রি...।
এর পরেই পূজো ।
মাইকে শারদিয়া কুমার শানুর গান।
আমার পেট গুড়গুড়।


মৃদু স্বরে পরীক্ষামূলক ভাবে
কেউ ঢাকের টেপ চালায়।
আমার মাথায় আশ্বিন।
ধর্মসংস্থাপনায় বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্‌...।


ঘুম পায়;
যেমন পায় মহালয়ার ভোরে চৈতণ্যের ডাকে।
রাস্তায় ভীড় বাড়ে । আজ ই কী পূজোর শেষ ?
হাসি, ঠাট্টা, পরস্পরের হাত ধরে ভীড় থেকে আলাদা;
নতুন জামা কাপড় সব শেষ? আজ ই ?
ঢাকের শব্দে ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ আজ !
পঞ্চমীর দিনে দশমীর আবাহন।
বোধনের আগেই সমাজতান্ত্রিক বিসর্জন।


দিল্লীতে নির্ভয়া ঘটে যায় পর পর;
আমরা নিরুত্তর।
আমার হাত নিশপিশ করে।
ভয়ও করে।


আমায় তোমার বুকের উত্তাপে
টেনে নাও সোনা ।
আমি চারিপাশের সা্থে আর
মিলিয়ে চলতে পারছিনা,