আমাদের সম্পূর্ণ জীবন একটা বিদ্যালয়।যেখানে সব সময় আমরা কিছু না কিছু শিখছি। সময় আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক।
    বাবা, মা,ভাই,বোন,আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, এরাই শিক্ষার প্রথম ধাপ।
   দ্বিতীয় ধাপে বিদ্যালয়ের গণ্ডি। সেখানের শিক্ষক শিক্ষিকা,প্রাইভেট টিউটর যুক্ত হন।
   আস্তে আস্তে চোখকে ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার অঙ্গনে  যুক্ত হয়ে যায় সমাজ, কর্মক্ষেত্র।
    নিজের শেষ ধাপে মানুষ শেখে নিজের সন্তান বা সন্তান সম কোন শিক্ষকের কাছে।
     শিক্ষাকে কখনো সময় বা সিলেবাসের গণ্ডিতে বেঁধে রাখা যায় না।কেউ পারে না।
     একজন শিক্ষকও শিক্ষাদানের সময় তার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অনেক নতুন তথ্য জানতে পারে। নিজেকে সমৃদ্ধ করে তুলতে পারে।
     বিবর্তনের ধারায় শিক্ষা হয়তো এখন অনেকটাই সিলেবাসের গন্ডিতে বদ্ধ, কিন্তু সেই গণ্ডি পেরিয়ে আবার মুক্তির পথে হাঁটছে শিক্ষা।


  শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে লেখা আমার কয়েকটি পংক্তি-


শিক্ষক তুমি ঈশ্বরের দূত জাতির মেরুদন্ড,
তোমার পথেই হাঁটছে সমাজ তুমি বিনা সব পন্ড।


শিক্ষক তুমি জ্ঞানের প্রদীপ ঘোচাও আঁধার কালো,
সন্তান স্নেহে মোদের সদাই বাসো জানি ভালো।


শিক্ষক তুমি নিপুণ শিল্পী জীবন গড়ার কারিগর,
তোমার জ্ঞানেই ঋদ্ধ হয়ে সামলাই সকল ঝড়।


শিক্ষক তোমার সকল ছাত্র-ছাত্রীর প্রতি দৃষ্টি অপলক,
ন্যায়-অন্যায়ের বিচার সভায় তুমিই শ্রেষ্ঠ মার্গদর্শক।


শিক্ষক তুমি সাহিত্য জ্ঞান বিজ্ঞানের বিপুল সমাহার,
রাতের আকাশে ধূমকেতু এক মুছে সকল কুসংস্কার।


শিক্ষক তুমি মানো না কভু জাতি ধর্ম বর্ণের বিভাজন,
তুমিই এনেছ যুগে যুগে এই পৃথিবীতে নবজাগরণ।


শিক্ষক তুমিই বিপ্লবী কন্ঠে গর্জে ওঠা ভাষণ,
জগত সভায় সবার শীর্ষে উজ্জ্বল তোমার আসন।